শর্ট ফিল্মে যে চরিত্রে অভিনয় করলেন সাকিব

SHARE

সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয় বলা হয়। ক্রিকেট মাঠ, বিজ্ঞাপনের শুটিং, কিংবা কোনো শোরুম উদ্বোধন সব জায়গায় তার সরব উপস্থিতি দেখা যায়। এবার টাইগার অলরাউন্ডারের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘অমলিন থাকুক প্রতিটি হাসি’ মুক্তি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সাকিব অভিনীত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে। অবশ্য এর আগেই ভক্তদের সঙ্গে এই খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

‘ভালো কাজের নিয়ত যার, নয় সে অসহায় ভাগ্য যে সঙ্গী তার, গোটা পৃথিবী সহায়!’

ওপরের চরণ দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির শেষে পর্দায় ভেসে ওঠে। এটি মূলত একটি মোবাইল কোম্পানির জন্য তৈরিকৃত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। আয়ারল্যান্ড সিরিজের মাঝপথেই চট্টগ্রামের সিআরবিতে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির শুটিং করেছিলেন সাকিব।

বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে চলচ্চিত্রটি শেয়ার করেন সাকিব। ‘অমলিন থাকুক প্রতিটি হাসি’ নামক ৬ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের শর্টফিল্মে সাকিব নিজ নামেই অভিনয় করেছেন। তবে সাকিবকে মূলত ৫ মিনিট ২৪ সেকেন্ড থেকে দেখা যায়, যিনি পর্দায় নায়কের মধ্যে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন।

এতে দেখা যায়, কয়েকজন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও মানুষদের নিয়ে একজন যুবক নিয়মিত ইফতার করেন। ছেলেটির আয়ের একমাত্র উৎস টিউশন। তবে প্রতিনিয়ত ইফতারি করার কারণে দোকানে ৩ হাজার ২০০ টাকা বাকি পড়ে তার, যেটি তার পক্ষে পরিশোধ করা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। উপায়ন্তর না পেয়ে নিজের শখের মোবাইলটি বিক্রি করে দিয়ে বকেয়া টাকা পরিশোধ করেন তিনি।

সেদিন ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলেই ছেলেটি দেখতে পায় টিউশনের টাকা দিতে অপারগতা জানানো আপু থেকে শুরু করে ইফতারির দোকানদার, সঙ্গে আরও অনেক মানুষ ইফতার নিয়ে তাদের সঙ্গে শামিল হয় ইফতার করার জন্য। এতে করে গল্পের নায়ক অবাক হয়ে যান। এমন সময় কাঁধে একজনের স্পর্শ অনুভব করেন ছেলেটি। ফিরে সাকিবকে দেখতে পান তিনি।

এরপরই ঘটনা খুলে বলেন সাকিব। আগের এক দৃশ্য দেখানো হয়; এতে দেখা যায়, ছেলেটি শুরুতে যেই মেয়েটিকে ইফতার করিয়েছিল, সে একজন ফুল বিক্রেতা। সাকিবের গাড়ির কাছে গিয়ে একদিন ফুল বিক্রি করতে গেলে সাকিব তাকে দূরের ভিড়ের কারণ জিজ্ঞেস করেন। তখন ফুল বিক্রেতা মেয়েটি জানায়, এক ভাইয়া আমাদের ইফতার করায়। এ ঘটনার ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করে সবাইকে ছেলেটির উদ্যোগে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান সাকিব। আর সাকিবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্যরা সেখানে আসর জমান।

এমনকি সাকিবও সেখানে এসে ইফতার করেন এবং ছেলেটিকে একটি নতুন মোবাইল ফোন উপহার দিয়ে বলেন, ভালো কাজের সঙ্গে সঙ্গে ছবি তোলাও চলুক।