ইউক্রেনে অবস্থান করছে পশ্চিমা স্পেশাল ফোর্স, গোপন তথ্য ফাঁস

SHARE

ইউক্রেনের অভ্যন্তরে কার্যক্রম চালাচ্ছে যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সামরিক বাহিনীর বিশেষ ইউনিট। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর এক গোপন নথিতে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে করা যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকশ গোপন নথি অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। এসব নথিতে নানা চমকপ্রদ তথ্য রয়েছে। বিবিসি, গার্ডিয়ান
প্রায় এক বছর যাবত ইউক্রেনে পশ্চিমা বিশেষ বাহিনীর উপস্থিতির যে গুঞ্জণ শোনা যাচ্ছিল এখন গোপন নথিতে তা সত্য প্রমানিত হলো। এ ফাঁসকৃত নথিগুলোর মধ্যে একটি হলো ২২ মার্চের। এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যুক্তরাজ্যের ৫০, লাটভিয়ার ১৭, ফ্রান্সের ১৫, যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ জন এবং নেদারল্যান্ডসের স্পেশাল ফোর্সের ১ জন সেনা অবস্থান করছেন। তবে এ নথিতে উল্লেখ নেই এসব সেনা ইউক্রেনের কোন অঞ্চলে রয়েছেন এবং কী করছেন।
ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলোর স্পেশাল ফোর্সের সেনাদের সংখ্যা খুবই কম। তবে এ নিয়ে সন্দেহ নেই এ বিষয়টি উত্তেজনা সৃষ্টি করবে। রাশিয়া এ ইস্যুকে সামনে আনার চেষ্টা করবে। দেশটি দাবি করবে, তারা শুধুমাত্র ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে নয়, ন্যাটোর সেনাদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করছে।
ইউক্রেনে পশ্চিমা বিশেষ বাহিনীর উপস্থিতির সুবিধা নিতে পারে রাশিয়াও। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মস্কো বলে আসছে, তারা কেবল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে না, ন্যাটোর বিরুদ্ধেও লড়ছে।
এ ধরনের বিষয়ে নিজেদের মেনে চলা নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মঙ্গলবার এক টুইটে বলেছে, ফাঁস হওয়া কথিত গোপনীয় তথ্যে মন্ত্রণালয়ের ভাষায় ‘বড় ধরনের বিভ্রান্তি’ থাকতে পারে। পাঠককে সম্ভাব্য গুজবের বিষয়েও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তবে সুনির্দিষ্ট কোনো নথির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় বিস্তারিত কিছু বলেনি। যদিও এসব নথি আসল বলে সংবাদমাধ্যমকে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের বলতে দেখা গেছে।
ফাঁস হওয়া নথির কয়েকটি ‘অতি গোপনীয়’ হিসেবে চিহ্নিত করা ছিল। এতে ইউক্রেন যুদ্ধের বিস্তারিত চিত্র উঠে এসেছে। বসন্তে পাল্টা হামলা চালানো নিয়ে ইউক্রেনের প্রস্তুতি সম্পর্কিত স্পর্শকাতর তথ্যও ছিল এসব নথিতে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, কোন উৎস থেকে এসব নথি ফাঁস হয়েছে তা তদন্ত শুরু করেছে তাদের বিচার মন্ত্রণালয়। তিনি ফাসের উৎস খুঁজে বের করার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।