৯ মাসে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ৬০৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা

SHARE

পদ্মা সেতু থেকে গত ৯ মাসে ৬০৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জনিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালুর পর গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৬০৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর গত মার্চ পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৯৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং ২০০৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তারপুর সেতু চালুর পরে এখন পর্যন্ত ২০৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদেব জানান, বর্তমানে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কোনো গবেষণামূলক কার্যক্রম চলমান নেই।
মন্ত্রী জানান, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ৩৬০ মিলিয়ন ডলারের ‘বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রকল্প’ প্রস্তুত করা হয়েছে, যার অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন। এ প্রকল্পে আইআরএপি (ইন্টারন্যাশনাল রোড অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম) স্টাডির মাধ্যমে দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোর নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিতে রেটিং-বিষয়ক গবেষণামূলক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত আছে।
তিনি বলেন, এ কার্যক্রমের আওতায় সড়কের নিরাপত্তা ও জিওমেট্রির ভিত্তিতে বিভিন্ন জংশন উন্নয়নের সংস্থান রাখা হয়েছে। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে তা ২০২৭ সালের ৩০ নভেম্বর নাগাদ বাস্তবায়ন হবে।
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরে বিআরটিসিসহ বেসরকারি বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির প্রায় ৬ হাজার বাস চলাচল করে। বিআরটিসির কিছু সংখ্যক রুটে ই-টিকেটিং চালু আছে। এছাড়া, ৯৭টি বেসরকারি পরিবহন কোম্পানির মধ্যে ৬৯টি কোম্পানির ৩ হাজার ৩০০ বাসে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির তত্ত্বাবধানে ই-টিকেটিং চালু করা হয়েছে।
বিআরটিএ এ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শিগগিরই অবশিষ্ট কোম্পানির বাসে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম মহানগরীতে এই সেবা দেওয়া হবে।’