কাজু-কফি চাষে পাল্টে যাবে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা : কৃষিমন্ত্রী

SHARE

কাজুবাদাম ও কফি চাষে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাজুবাদাম ও কফির বিশাল চাহিদা রয়েছে, দামও অনেক বেশি। সেজন্য এসব ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে। পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এসব ফসল চাষে সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক। এ ছাড়া আনারস, আম, ড্রাগনসহ অন্যান্য ফল চাষেও সম্ভাবনা প্রচুর। এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটবে।
আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কাজুবাদাম ও কফি বাগান পরিদর্শন এবং চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কফি ও কাজুবাদামের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কাজুবাদাম ও কফির চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের আমরা বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শসেবা দিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত কফি ও কাজুবাদামের ১২ লাখ চারা বিনামূল্যে কৃষকদেরকে দেওয়া হয়েছে। এ বছর আরও ২০ লাখ চারা কৃষকদের দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এ ছাড়া, আনারস, আম, ড্রাগনসহ অন্যান্য ফল চাষের সম্ভাবনাও রয়েছে। এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটবে। পাহাড়ি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন হবে। একই সঙ্গে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি দীপংকর তালুকদার, এমপি বাসন্তী চাকমা, কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।