‘ট্রেন ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর যাবে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে’

SHARE

২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেলসংযোগ প্রকল্প চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। মঙ্গলবার (৪ এট্রিল) মাওয়া রেল স্টেশনে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
মঙ্গলবার ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেল জংশন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘বিশেষ ট্রেন’ যাত্রা শুরু করে। দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ছেড়ে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি।
পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো বিশেষ ট্রেনটিতে যাত্রা করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় তার সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ নানা পেশার লোকজন ছিলেন।
মাওয়া স্টেশনে পৌঁছে প্রেস ব্রিফিংয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, সড়কসেতু প্রধানমন্ত্রী উদ্ধোধন করেছেন। আজ ট্রেন চলার মাধ্যমে এই সেতু পূর্ণতা পেলো। আমাদের পরিকল্পনা আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলসংযোগ কানেক্ট করবো, নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাচলের জন্য উপযোগী হবে। আজকে পরীক্ষামূলক ট্রেন চললো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বর মাসে সেটির উদ্বোধন করবেন। ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলসংযোগ প্রকল্প চালু করা হবে। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত সংযুক্ত করা গেলে এই অংশ দিয়ে নিয়মিত ট্রেন চলাচল করতে পারবে। ’
তিনি বলেন, ১৭২ কিলোমিটার রেলসংযোগ প্রকল্পের তিনটি অংশের মধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের ৯১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ অংশের ১৩টি মেজর ব্রিজের কাজ শেষ, রেলস্টেশনের কাজ ৩০ শতাংশ শেষ হয়েছে। যশোর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮৩ কিলোমিটার পথের কাজ ৯৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। মাওয়া-ঢাকা অংশের ১২ কিলোমিটার সড়ক পথের কাজ শেষ হয়েছে। ভাঙ্গা-যশোর অংশের কাজ ৯৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। ঢাকা-যশোর পর্যন্ত পুরো অংশের ৭৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে ১০০টি যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি কোচ এসে পৌঁছেছে, বাকিগুলো আসছে। ’
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির এখন কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী বছরে এ বিষয়টি বলা যাবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্টের (সিএসসি) তত্ত্বাবধানে চলছে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। গত ৩১ মার্চ পদ্মা সেতুসহ দুইপাশের ভায়াডাক্ট মিলিয়ে ৬ দশমিক ৬ কিলোমিটার অংশের কাজ শেষ করেন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা।