সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত আজ

SHARE

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অর্ধশতাধিক আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার মেশিন থাকলেও অর্থ পাওয়া সাপেক্ষে মেরামতের বিষয়টি ‘ঝুলে’ থাকায় নতুন করে ভাবতে হচ্ছে ইসিকে।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় কমিশনের ১৭তম সভা অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভায় অন্য চার কমিশনারসহ ইসি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত থাকবেন। এতে ‘আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বিষয়ে আলোচনা’-এর এজেন্ডা রাখা হয়েছে। অন্যান্য এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন; নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক বা গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য নীতিমালা; বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) এর সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুমোদন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, গাজীপুর সিটি ভোটের তফসিল আজ (৩ এপ্রিল) ঘোষণা হবে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছিলেন, পাঁচ সিটি নির্বাচন নিয়ে পরবর্তী কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। তবে এর মধ্যে গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রথমে অনুষ্ঠিত হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভার পরবর্তী পাঁচ বছর। আর পরবর্তী নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে।
কর্মকর্তারা জানান, গত ১১ মার্চ থেকে এ সিটি নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। অর্থাৎ গত ১১ মার্চ থেকে পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে এই সিটির ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। এছাড়া সোমবারের কমিশন সভায় গাজীপুরের পাশপাশি অন্য চার সিটি করপোরেশন (রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল) নির্বাচন নিয়ে আগাম সিদ্ধান্ত হতে পারে।

ইসি জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ ভোট হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের ১১ মার্চ থেকে। অর্থাৎ আগামী গাজীপুর সিটির ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। আর খুলনা সিটির সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। এই দুই সিটিতেই নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বছর ১১ অক্টোবর। এজন্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ১১ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে আসছে ১০ অক্টোবরের মধ্যে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে একই বছর ৭ নভেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ৬ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে চলতি বছর ৫ নভেম্বরের মধ্যে।
এছাড়া, বরিশাল সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বছর ১৪ নভেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ১৪ মে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এ বছর ১৩ নভেম্বরের মধ্যে।