মেক্সিকোয় ৩৯ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে তদন্ত

SHARE

মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় শহর চিউদাদ জুয়ারেসে মঙ্গলবার আগুনে পুড়ে ৩৯ জন মারা যান। পরে এক ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ঘর থেকে দরজা ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে। দরজা না খুলে সামনে দিয়েই হেঁটে যান তিন প্রহরী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন এক ভিডিও চিউদাদ জুয়ারেস শহরের ওই ডিটেনশন সেন্টারটিতে আগুনে পুড়ে এত মানুষের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বড় রকমের সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। উঠেছে ইচ্ছে করে দরজা না খুলে মানুষ হত্যার অভিযোগ।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেক্সিকোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রোজা ইচেলা রদরিগেজ জানান, ৩৯ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী হতে পারেন এমন আটজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানিয়েছে, ওই আটজনের মধ্যে দুইজন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তা, একজন অভিবাসন কর্মকর্তা এবং বাকি পাঁচজন এক বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য।

এদিকে মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান সারা আইরিন হেরেইরাস জানিয়েছেন, ‘হত্যা এবং সম্পদহানির অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের’ তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। তদন্তকারীরা অন্যান্য সম্ভাব্য অভিযোগও যাচাই করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সারা আইরিন হেরেইরাস ঘটনায় বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী বা বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীদের কেউ দরজা খুলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বের হতে সহায়তা করেননি।’

চিউদাদ জুয়ারেস শহরের ডিটেনশন ক্যাম্পটিতে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে আটক ভেনেজুয়েলা এবং গুয়াতেমালার নাগরিকদের রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে আগুন লাগলে সবাই বাইরে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুরুষদের ঘরগুলোর দরজা বন্ধ ছিল। একটি ঘরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ঘরটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। কয়েকজন মানুষ লাথি মেরে দরজা ভাঙার চেষ্টা করছেন আপ্রাণ। ঠিক তখনই দরজার বাইরের রাস্তা দিয়ে উর্দি পরা তিন নিরাপত্তা রক্ষীকে হেঁটে চলে যেতে দেখা যায়। দরজা খোলার কোনো চেষ্টাই তারা করেননি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার আগুনে মারা যাওয়া ৩৯ জনের সবাই পুরুষ। নারীরা আগুন থেকে নিজেদের রক্ষা করে বাইরে যেতে পেরেছেন বলে তাদের কেউ মারা যাননি।

সূত্র : ডয়চে ভেলে