যেটা হচ্ছে তা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে

SHARE

প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি দৈনিকের সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা দেওয়ার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যেটা হচ্ছে তা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান। এর আগে তিনি তার দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন। কথা বলার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, যে মামলা করা হয়েছে বা হচ্ছে, আমি আপনাদের বলতে চাই যে, যেটা হচ্ছে সেটা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আপনারা নির্ভীক সাংবাদিক আমি এটা স্বীকার করি। আপনারা যদি জনগণকে সত্য তথ্য প্রকাশ করেন তাহলে কোনো মতেই এই সরকার সাংবাদিকদের বাধা দেবে না।

গতকাল রাতে প্রথম আলোর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা হয়েছে। অথচ এই আইনে মামলা হলে প্রথমে সেলে পাঠানো হবে। কিন্তু গতকাল দেখতে পেলাম তাকে গ্রেফতার করা হলো- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলায় যখন তথ্য দেওয়া হবে তখন যদি প্রাইমাফেসি কেস (প্রাথমিক সত্যতা) না থাকে তখন প্রাইমাফেসি কেস নির্ধারণের জন্য আগে সেলে পাঠানো হবে এবং সেলের পরীক্ষান্তে তারপর মামলা নেওয়া হবে। কিন্তু গতকাল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যে মামলা হয়েছে তার যে বিবরণী সেটা যদি দেখে থাকেন, তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যে মামলা হয় সেটার তথ্য-উপাত্ত কিন্তু সেই বিবরণীর মধ্যে ছিল। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর প্রয়োজন পড়ে না বলে এই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।

গত দুই-তিনদিনে আমরা দেখেছি নওগাঁতেও একই রকম ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হয়েছে- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, নওগাঁর ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের কথা বলেন, তাহলে আমি একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই। সেটা হলো নওগাঁ থেকে যে ভদ্র মহিলাকে তুলে নেওয়া হয়, তখন কিন্তু তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলা ছিল না। তার অবশ্যই দুর্ভাগ্য তিনি যখন মারা যান তখন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলা ছিল না। সেই মামলা করা হয়েছে তার পরের দিন।

‘তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের এখানে অপব্যবহার করা হয়েছে। এই মামলার কোনো প্রসিকিউট করা হয়নি। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট দিয়ে মহিলাকে ধরা হয়নি।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, দুই একটা কেইসে (ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার) হচ্ছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেখানেই আমরা দেখছি যে এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে সেখানেই তা বন্ধ করার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা নিচ্ছি।