‘হয়তো কী পেয়েছি আমরা এখনো বুঝতে পারিনি’, বিশ্বকাপে হাত বুলিয়ে বললেন মেসি

SHARE

তিন মাসেরও বেশি হয়ে গেল বিশ্বকাপ জিতেছেন। এর মধ্যে ক্লাব পিএসজির হয়ে আরেকবার চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্যর্থতায় পুড়েছেন। বিশ্বকাপ জয়ের পরপরই সেটির উদ্‌যাপন তো হয়ে গেছে, বুয়েনস এইরেসের রাস্তায় নেমেছিল লাখো আর্জেন্টাইনের ঢল।
তবে গতকাল দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের প্রধান কার্যালয়ে যে সম্মানে-উদ্‌যাপনে ভেসেছেন মেসি, সেটি অনন্য। কোপা আমেরিকা, লা ফিনালিসিমা ও বিশ্বকাপ – মহাদেশীয়, আন্তঃমহাদেশীয় ও বিশ্বশিরোপা জেতায় পুরো আর্জেন্টিনা দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে কনমেবল। কোপা আমেরিকার স্মারক ট্রফি তো দেয়া হয়েছেই, ফিনালিসিমা ও বিশ্বকাপের স্মারক ট্রফিও কাল তুলে দেয়া হয় মেসিদের হাতে।
আর মেসি পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননা। তার উচ্চতার সমান ভাস্কর্য উন্মোচিত হয়েছে, আর্জেন্টিনা দল ও তাকে নিয়ে গান গেয়েছেন আর্জেন্টাইন গায়িকা সোলেদাদ পাস্তোরুত্তি। এমন সম্মানে ভেসে গিয়ে মেসির অনুভূতি, বিশ্বকাপ জিতে তিনি পূর্ণ। তবে বিশ্বকাপ জেতার আনন্দটা কতটা, সেটা সম্ভবত এখনো বুঝতে পারছে না সবাই।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে মেসি বলেছেন, ‘আলেহান্দ্রোকে (কনমেবল সভাপতি আলেহান্দ্রো দমিঙ্গেস) অনেক ধন্যবাদ এই দুটি ট্রফির জন্য, (বিশ্বকাপ ট্রফিতে হাত বুলিয়ে) বিশেষ করে এটির জন্য। এই কাপটা আমি কনমেবলের জাদুঘরে রাখতে চাই।’
এরপর আর্জেন্টাইন গায়িকা সোলেদাদকে ধন্যবাদ জানানোর বিশেষ কারণও বললেন মেসি, ‘সোল আমাকে যে উপহার দিয়েছে, সেটি হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। ড্রেসিংরুমে আমাদের সবার জন্য গানটা খুব তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ এই গানটা আমরা সব সময় শুনি। সোল যে আজ এখানে এসে গানটা গাইল, সেটা আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে – যেটা সোল নিজেও বলল – যে দিয়েগোর (মারাদোনা) জন্যও সে এই গানটা গেয়েছিল। সেই একই গান এখন আমার জন্যও সে গেয়েছে, আমাদের সবার জন্য গেয়েছে, এটা আমাদের সবার জন্যই বিশেষ পাওয়া। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।’
বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত নিয়েও এখনো আবেগ যে একই আছে, সেটি মেসির কণ্ঠে সব সময়ই ফুটে ওঠে। গত কদিনে আর্জেন্টিনায় এবং গতকাল কনমেবলে যে আবেগঘন সম্মাননা পেলেন, সেটি যে তাকে কতটা ছুঁয়ে গেছে, তা-ও ফুটে উঠেছে মেসির কথায়, ‘এর আগে যেটা বলেছি, আমরা অনেক বিশেষ একটা সময় কাটাচ্ছি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর্জেন্টিনায় যে এভাবে খেলতে পারলাম, এমন ভালোবাসায় সিক্ত হলাম, সে জন্য আমরা নিজেদের সৌভাগ্যবান ভাবি। দক্ষিণ আমেরিকার একটা দলের বিশ্বকাপ জেতাটা জরুরি হয়ে পড়েছিল।’
শেষে এসে মেসির কথা, ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে যে ভালোবাসায় ভেসে যাচ্ছি আমরা, সেটির পরও বলি, আমরা হয়তো এখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারছি না আমরা কী পেয়েছি। আমরা সব সময় এর পর কী হবে তা নিয়ে চিন্তা করছি, কী করেছি সেটা নিয়ে ভাবার সময়ই যেন নেই। জীবনই হয়তো এমন। এখানে অনেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নই আমাদের বলেছেন যে এমনটা তাদের সঙ্গেও হয়েছে। (বিশ্বকাপে আরেকবার হাত বুলিয়ে) এই ট্রফিটা নিয়ে আমি সম্পূর্ণ। এটাই বাকি ছিল।’