পাকিস্তানকে বাগে পেয়েও হোয়াইটওয়াশ করতে ব্যর্থ আফগানিস্তান

SHARE

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুইটিতে জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল আফগানিস্তান। সুযোগ ছিল প্রথমবারের মতো তাদেরকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল আফগানদের। শেষ ওয়ানডেতে জয় তুলে মাঠ ছেড়েছে পাকিস্তান।
সোমবার (২৭ মার্চ) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রশিদ খান। নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তান ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ১১৬ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। এতে করে ৬৬ রানে বড় জয় পায় পাকিস্তান। ম্যান ইন গ্রিনরা সিরিজ হারে ২-১ ব্যবধানে।
পাকিস্তানের দেয়া লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে আফগান ব্যাটাররা। ৩৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় তারা। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে মোহাম্মদ নবি ও উসমান ঘানি। কিন্তু তারা দলকে বেশি দূর টানতে পারেননি। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভারের আগেই ১১৬ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানরা।
পাকিস্তানের হয়ে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও দারুণ পারফর্ম করেন অধিনায়ক শাদাব খান। ৪ ওভারে ১৩ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন পাক অধিনায়ক। যার কারণে ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে পাক অধিনায়কের হাতে। এ ছাড়াও ইহসানুল্লাহ পেয়েছেন ৩টি উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। তবে প্রথম দুই ম্যাচের মতো এবার আর আফগান বোলাররা পাক ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করতে পারেনি। সাইম আইয়ুবের ৪০ বলে ৪৯ ইফতেখার আহমেদের ৩১ এবং শেষের দিকে অধিনায়ক শাদাব খানের ২৮ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ১৮২ রানের বিশাল পুঁজি পায় পাকিস্তান।
আফগানিস্তানের সব বোলারই উইকেটের দেখা পেয়েছেন। তবে তাদের সেরা বোলার ছিলেন মুজিব-উর-রহমান। ৪ ওভার বোলিং করে ২৮ রানে দুই উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার। এছাড়া ৩১ রানে ১ উইকেট নেন রশিদ খান। এর মধ্যে একটা কীর্তিও গড়েন আফগান অধিনায়ক। সর্বশেষ ৬টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে টানা ১০৬ বলে কোনো বাউন্ডারি হজম না করাটা তো কীর্তিই বটে!