পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ইতিহাস

SHARE

জিততে দরকার ১ রান, বল বাকি ১৩টি। সিঙ্গেল নিতে পারতেন। কিন্তু জয় আকর্ষণীয় করার সুযোগ ছাড়লেন না মোহাম্মদ নবী। ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে অফড্রাইভে মিডঅফ দিয়ে ছক্কা মারলেন। ইতিহাস গড়লো আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার পাকিস্তানকে হারালো তারা। ঐতিহাসিক সাফল্যের নায়ক নবীর হলো রাজসিক প্রত্যাবর্তন।
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রথম দেখা হয়েছে ১১ বছর হয়ে গেলো। কোনোদিন জেতা হয়নি আফগানদের। শারজায় পাকিস্তানের অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনকে শাসন করে ৬ উইকেটে জয় পেলো তারা।
বাবর আজম, শাহীন আফ্রিদির মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের ছাড়া তিন টি-টোয়েন্টির এই সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করে পাকিস্তান। শাদাব খানের নেতৃত্বে শুরুটা তাদের ভালো হয়নি। ৯ উইকেটে ৯২ রানে থামে পাকিস্তান।
পাওয়ার প্লেতে ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল তারা। ফজল হক ফারুকির পেসের সঙ্গে নবী ও মুজিব উর রহমানের স্পিনে সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। তিনজনই সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন। নবী ৩ ওভারে ১২ রান দেন, এরপর ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। করেন ৩৮ বলে ৩৮ রান, একমাত্র ছয়ের সঙ্গে ছিল তিনটি চার। প্রত্যাশিতভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে।
৯৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে নবীর সঙ্গী ছিলেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। ২৩ বলে ১৭ রানে খেলছিলেন তিনি। ৪ উইকেটে ৯৮ রান করে আফগানিস্তান।
পাকিস্তানের ব্যাটিং দুর্দশার চিত্র ফুটে ওঠে একটি পরিসংখ্যানে। মাত্র চার ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে রান করেছিল। সর্বোচ্চ ১৮ রান আসে ইমাদ ওয়াসিমের ব্যাটে।
একই ভেন্যুতে রোববার দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। ১-০ তে এগিয়ে থেকে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য আফগানদের, আর পাকিস্তানের লড়াই টিকে থাকার।