চিকিৎসকদের পদোন্নতির প্রতিবন্ধকতা দূর হয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

SHARE

চিকিৎসকদের জন্য নতুন করে পোস্ট তৈরি করা এবং পদোন্নতির যে প্রতিবন্ধকতা ছিল, তা সচল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে ‘বিশ্ব মৌখিক (ওরাল) স্বাস্থ্য দিবস-২০২৩’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি (বিডিএস)।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছর ডেন্টাল কর্তৃপক্ষের কিছু দাবি ছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পোস্ট ক্রিয়েশন এবং প্রমোশনের বিষয়ে। ইতোমধ্যে আমাদের বেশ কিছু পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। আপনাদের আমি নিশ্চিত করছি, আগামীতে যেখানে যেই প্রমোশনের প্রয়োজন আছে, তা করে দেওয়া হবে। তবে প্রমোশনের বিষয় অনেক আগে থেকেই ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সেই প্রতিবন্ধকতা দূর করে দিয়ে প্রমোশনের কার্যক্রম বর্তমানে সচল আছে।
ডেন্টাল ইনস্টিটিউট করে দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ডেন্টিস্টদের জন্য একটা ইনস্টিটিউটের প্রয়োজন আছে, যা আমিও মনে করি। বর্তমানে অনেকগুলা ইনস্টিটিউট আছে। আমাদের হার্ট ইনস্টিটিউট আছে, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট আছে, গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট আছে, আই এবং ইএনটি ইনস্টিটিউটও আছে। সেই হিসাবে কেন ডেল্টাল ইনস্টিটিউট হবে না। তাই আমরা পরিকল্পনা করছি আগামীতে ডেন্টিস্টদের জন্য একটা ডেন্টাল ইনস্টিটিউট করে দেব।
১৭ কোটি মানুষের জন্য ১৫ হাজার ডেন্টিস্ট অনেক কম উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, দাঁতের চিকিৎসা বিষয়ে আমাদের জনবল এবং প্রতিষ্ঠান দুটিই কম আছে। ডব্লিউএইচও-এর রিকমেন্ডেশন অনুযায়ী প্রতি দশ হাজার লোকের জন্য ১২ জন করে ডেন্টিস্ট থাকা প্রয়োজন। কিন্তু দেশের হিসেব অনুযায়ী ১২ হাজার লোকের জন্য মাত্র একজন ডেন্টিস্ট আছে দেশে, যা খুবই অপ্রতুল। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেকোনো স্বাস্থ্যসেবার জন্য নিয়মিত চেকআপ প্রয়োজন। কিন্তু গ্রামের মানুষের সাধারণ চিকিৎসা নিতেই কষ্ট হয়, সেখান দাঁতের চিকিৎসা তাদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে ওঠে। মুখের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা ব্যয় হয়, যা আমাদের দেশের অনেক সাধারণ মানুষই পারে না। সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসেবা যতটুক দেওয়া সম্ভব দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তারপরও এটা খুবই অপ্রতুল।
ওরাল হেলথের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আরও যতœবান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, মুখের স্বাস্থ্য বিষয়ে বাংলাদেশের অনেকেই মনোযোগী নয়। অনেকে নিয়মিত ব্রাশ করে না, এমনকি আমাদের দেশে অনেকেই তামাক সেবন করে। আর মুখের ক্যান্সার বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ধূমপান ও তামাক সেবন। এ বিষয়গুলোকে আমাদের আরও কঠিন করে দেখতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, প্রেসিডেন্ট ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. হাবিবে মিল্লাত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।