তুর্কমেনিস্তানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

SHARE

চোটের কারণে দলের বড় তারকা শামসুন্নাহার একাদশে নেই। তাকে ছাড়া খেলতে নামার প্রভাব কিছুটা হলেও পড়েছিল। বাংলাদেশ শুরু থেকে আক্রমণ করলেও গোল পাচ্ছিল না। বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে গোলখরা কাটিয়েছেন স্ট্রাইকার আকলিমা খাতুন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আকলিমা ও স্বপ্না রানীর জোড়ায় তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ‘এইচ’ গ্রুপে তুর্কমেনিস্তানকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
শুক্রবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ শুরু থেকে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে খেলেছে। তবে দুই উইং দিয়ে একের পর এক আক্রমণ করলেও গোলমুখ উন্মুক্ত করা যাচ্ছিল না। তুর্কমেনিস্তানের ডিফেন্ডাররা একের পর আক্রমণ প্রতিহত করে দলকে রক্ষা করছিলেন।
ম্যাচঘড়ির ৫ মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপা ক্রস করলেও আফঈদা খন্দকার মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। পারলে গোল হতে পারতো!
২০ মিনিটে আকলিমা খাতুন বক্সের ভিতরে বল পেয়েও ঠিকঠাক প্লেসিং করতে পারেননি। তার নেওয়া দুর্বল শট গোলকিপার আমানবেরদিয়েভা আয়েশা সহজেই তালুবন্দি করেছেন। ৩৫ মিনিটেও হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে। রিপার জোরালো শট তালুবন্দি করেছেন প্রতিপক্ষ গোলকিপার।
দুই মিনিট পর প্রতি-আক্রমণে তাগানোভার শট পা দিয়ে রুখে দিয়েছেন রুপনা চাকমা।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়েই বাংলাদেশের কপাল খুলেছে। কর্নার থেকে গোলকিপার ঠিকমতো বল প্রতিহত করতে পারেননি। বল পেয়ে জটলার মধ্যে বাঁ পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপিয়েছেন আকলিমা খাতুন।
বিরতির পর আক্রমণ ধরে রেখে স্বাগতিকরা আরও তিন গোল করেছে। ৭১ মিনিটে ব্যবধান হয় ২-০। ইতি খাতুনের ক্রসে ৬ গজের মধ্যে থেকে আকলিমা খাতুন প্লেসিং করে ব্যবধান বাড়িয়েছেন। ৮০ মিনিটে ইতি রানির ক্রসে হেড করে তৃতীয় গোল করে তুর্কমেনিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন স্বপ্না রানী।
দুই মিনিট পর আবারও স্বপ্না রানীর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট এক ডিফেন্ডারের পা ছুঁয়ে জালে জড়ালে স্কোর ৪-০ হয়েছে।
তুর্কমেনিস্তান প্রথম ম্যাচে ইরানের কাছে ৭-১ গোলে হেরেছে। টানা দুই ম্যাচ হেরে তাদের বিদায় নিশ্চিত। আগামী রবিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইরানের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে নির্ধারণ হবে কোন দল চূড়ান্ত পর্বে যাবে।