স্টেডিয়াম বাড়ানো হচ্ছে ভূমির অপচয় : স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী

SHARE

মুক্তিযুদ্ধে প্রথম স্বাধীন জেলা যশোর। তবে স্বাধীনতার এতো বছর পরও জেলা শহরটিতে খেলার মাঠ মাত্র একটি। সেই পাকিস্তান আমলে তৈরি শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামের অবস্থাও এখন নাজুক। স্টেডিয়ামের কোনায় কোনায় বয়সের ছাপ।

এ মাঠেই যশোরের ফার্স্ট ডিভিশন, সেকেন্ড ডিভিশন ক্রিকেট, টায়ার ওয়ান, টায়ার টু, প্রথম বিভাগ ফুটবল, হ্যান্ডবলের প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ এবং নারী চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট হয়। এ ছাড়াও জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে একই মাঠে ঘরোয়া হকি, অ্যাথলেটিক্সসহ সব ধরনের খেলার আয়োজন করতে হয়। নির্ধারিত সময়ে সব ইভেন্ট শেষ করা কঠিন হয়ে যায়।

যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব কবীর জানান, মাঠ বেশি থাকতো, তাহলে একসঙ্গে আমরা তিনটা বা চারটা খেলা চালাতে পারতাম। মাঠ না থাকার কারণে একটা মাঠে ঘুরে ঘুরে রোলিং করে খেলা চালাতে হয়। মাঠ সংকটের কারণে আমরা বিভিন্ন স্কুলে খেলার আয়োজন করি। মাঠ সংকটের কারণে আমাদের এটা করতে হচ্ছে।

এই চ্যালেঞ্জকে আরও কঠিন করে তোলে বর্ষা মৌসুম। মাঠ সংস্কারের প্রস্তাবও আলোর মুখ দেখেনি।

এক মাঠে সব খেলা হওয়ায়, আগের মতো ভালো মানের খেলোয়াড় পাচ্ছে না যশোর। এরপরও আলাদা মাঠের প্রয়োজনীয়তা দেখেন না স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।

তিনি জানান, জমির দাম বেড়ে যাচ্ছে, লোক সংখ্যা বাড়ছে। মাঠ করতে হলে অনেক জমির প্রয়োজন। তাই যতটুকু আছে, সেটাকেই আমরা ভালোভাবে ব্যবহার করলে আমাদের নতুন করে আর স্টেডিয়াম বানাতে হবে না।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জানান, স্বল্প আয়ের ক্লাবগুলোর পক্ষে অতিরিক্ত খরচ বহন করা সম্ভব হবে না।