নজরুলের দর্শনে বঙ্গবন্ধু ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন : প্রধানমন্ত্রী

SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাগরণের কবি নজরুল ইসলামের দর্শন দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করা হয়। শুধু তাই নয়, তিনি কবি রচিত ‘চল-চল-চল, ঊর্ধ্ব গগণে বাজে মাদল’ গানটিকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর রণসঙ্গীত হিসেবে নির্ধারণ করেন।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য ‘নজরুল উৎসব’ উপলক্ষে তিনি এই বাণী দেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ১৯৭২ সালের ২৫ মে কবির ৭৩তম জন্মদিন পালনের উদ্দেশ্যে ২৪ মে তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে সপরিবারে ঢাকায় নিয়ে এসে নাগরিকত্ব প্রদান করেন এবং তার জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ১৯৭৫ সালের জুলাই মাসে কবির স্বাস্থ্যের অবনতি হলে, জাতির পিতা তাকে তৎকালীন পিজি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এরই মধ্যে স্বাধীনতা বিরোধী খুনিচক্র ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। কবিও হাসপাতাল থেকে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। ১৯৭৬ সালের আগস্ট মাসেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।

তিনি বলেন, আমরা যে ‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে গ্রহণ করেছি- তাও প্রথম উঠে এসেছিল আমাদের জাতীয় কবির প্রবন্ধে ও কবিতায়। আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কিংবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেউই আমাদের মাঝে নেই। তবে রয়ে গেছে তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্ন। আমরা সেটাকে বাস্তবে পরিণত করার পবিত্র ব্রত গ্রহণ করলেই তাদের প্রতি যথার্থ সম্মান দেখানো হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নজরুল উৎসব’-এর আয়োজন হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা হিসেবে বাঙালির আত্মপরিচয় বিনির্মাণের ক্ষেত্রে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, নিপীড়িত মানুষের বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে ধর্মমত নির্বিশেষে সকল বাঙালি মিলেমিশে সমতার ভিত্তিতে একটি নতুন সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সাম্যবাদের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। সেটাই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের ভিত্তি। আমরা জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী ‘নজরুল উৎসব’ আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানান এবং এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।