উপনির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

SHARE

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা মাত্র তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম। সে তিনটি আসনে আমাদের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে পিআইডি প্রকাশিত ‘উন্নয়নের নব দিগন্ত’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম থাকা নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উপনির্বাচনে সব সময় ভোটার উপস্থিতি কম থাকে। আর যেখানে জাতীয় নির্বাচন এক বছরের কম সময়ের মধ্যে হবে, অল্প সময়ের জন্য যেহেতু তারা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন, এখানে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। সে জন্যই ভোটার উপস্থিতি কিছু কম থাকলেও অত্যন্ত সুষ্ঠু সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত ভালো নির্বাচন হয়েছে। আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার উপস্থিতির কথা ভাবেন, সেখানে ৪০ শতাংশ মানুষ ভোটার হন না। আবার যারা ভোটার হন সেখান থেকে অর্ধেক উপস্থিত হন। সার্বিক বিচারে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে সেখানে। সে হিসেবে আমাদের উপনির্বাচন যেটি এক বছরের কম সময়ের জন্য এমপি নির্বাচিত হবেন অনেক ভালো হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বর মাসে বিএনপি বলেছিল সরকারের বিদায় হবে এবং সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে। ডিসেম্বর মাসে সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে তারা নিজেরা পড়ে গেছে। এরপর থেকে এখন তারা হাঁটা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি অনুধাবন করতে পেরেছে, সরকারকে ধাক্কা মারলে লাভ হবে না। সরকারের ভিত অনেক গভীরে প্রথিত। আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রথিত। সরকারকে ধাক্কা মারতে গিয়ে তাদের যে কোমর ভেঙে গেছে সেটা তাদের বর্তমান কর্মসূচির মাধ্যমে পারিষ্ফুটিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আশা করব বিএনপি সব সময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে থাকবে, গণতন্ত্রের পথেই হাঁটবে। এটিই হচ্ছে আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, তাদের ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। তাদের ষড়যন্ত্র সব সময় ছিল, এখনো আছে। তারা জানে যে ২০০৮ সালে ২৯ আসন পেয়েছিল, পরে উপনির্বাচনে বেড়ে ৩০টি আসন অতিক্রম করে। ২০১৪ সালে বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালে ছয়টি আসন পেয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও তাদের সম্ভাবনা যে নেই, সেটি তারা জানে। সেটি জানে বলেই তারা নির্বাচন নিয়ে, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করার জন্য নানা ধরনের কথাবার্তা বলে।