এই পদযাত্রা হলো বিএনপির মরণযাত্রা : কাদের

SHARE

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আমাদের লাল কার্ড দেখায়। ১০ ডিসেম্বর সরকার পতন, ৩০ ডিসেম্বর থাকবে না, ১১ জানুয়ারি সরকার আর নাই। বিএনপি এখন কই? বিএনপি এখন পদযাত্রায়। এই পদযাত্রা বিএনপির শেষ পদযাত্রা, অন্তিম পদযাত্রা, মরণযাত্রা। বিএনপির এখন মরণযাত্রায়। খেলা তো হবেই। কিন্তু খেলা হবার আগেই বিএনপি মৃত্যুযাত্রায় চলছে।
আজ রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব পালিয়ে আছেন আপনারা, তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না বলে পালিয়েছে লন্ডনে। আমরা পালাতে জানি না। এই দেশেতে জন্ম আমার এই দেশেতে মরি। প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব।
তিনি বলেন, আজ এই রাজশাহীর মহাসমাবেশে আপনাদের কী মনে আছে। কিছু দিন আগে বিএনপি একটি সমাবেশ করেছে। সেই সমাবেশ আর আজকের সমাবেশ! রাজশাহীবাসী ও সারা দেশ আজ দেখছে। বিএনপি বলে ১০ ডিসেম্বর সরকার পতন। আবার বলে ৩০ ডিসেম্বর সরকার চলে যায় এবং ১১ জানুয়ারি বলে সরকার নেই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামনে আসতেছে বঙ্গবন্ধু টানেল। পদ্মা সেতুর জ্বালা, মেট্রোরেলের জ্বালাও আছে। যেদিকে তাকাই সেদিকে উন্নয়ন। রাজশাহী শহর গ্রিন সিটিতে পরিণত হয়েছে। এই রাজশাহী এখন বাংলাদেশের পরিচ্ছন্ন সিটি। মেয়রকে আমি ধন্যবাদ দো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মেয়র রাজশাহীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে আরও জ্বালা আছে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও একদিনে শতসেতু উদ্বোধনের জ্বালা। দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। গ্রাম হয়েছে শহর, এটা আরেক জ্বালা। জ্বালায় মরে ফখরুল আর বিএনপি। খেলা হওয়ার আগেই তো বিএনপি পালাতে শুরু করেছে। আগেই তো মরণযাত্রা শুরু হয়েছে। খেলা হবে দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার, হত্যা ষড়যন্ত্র, সাম্প্রাদায়িকতার বিরুদ্ধে। আগামী নির্বাচনের আগে ফাইনাল খেলা হবে। তৈরি হয়ে যান ফখরুল সাহেব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এখনো শিক্ষা হয়নি। শিক্ষা পাবে, যখন আগামী নির্বাচনে আবার পরাজয়ের মুখ দেখবে। তাদের পরাজয় হবে। আজকে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হন। একজন নারী সন্তান জন্ম দেয়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেখলেন, মা সন্তান জন্ম দেয়, কিন্তু সকল রেকর্ডে বাবার নাম থাকে। শেখ হাসিনা বলেছেন, বাবার সাথে মায়ের নাম লিখতে হবে। বৃত্তির টাকাও এখন মায়ের কাছে যায়, বাবারা পায় না। যে মায়ের মোবাইলফোন ক্রয়ের টাকা নেই। যে মায়ের মোবাইলফোন কেনার সামর্থ্য নেই, শেখ হাসিনা মোবাইলফোন কেনার সুযোগ করে দিয়েছেন।