বড়দিন উপলক্ষে হামলার কোনো হুমকি নেই : আইজিপি

SHARE

আসন্ন বড় দিন (২৫ ডিসেম্বর), বর্ষবরণ (৩১ ডিসেম্বর), দুই জঙ্গি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালানো এবং রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতির মাঝেও কোনো ধরনের হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তবে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশপ্রধান।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর কাকরাইলে বড় দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি এসব কথা বলেন।
দেশের কোনো ধরনের হুমকির তথ্য আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। যেখানে যে পরিস্থিতিতে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা নিচ্ছি।’
পুলিশপ্রধান বলেন, আপনারা জানেন, এদেশে হলি আর্টিজানের পর আর কোনো উল্লেখযোগ্য জঙ্গি ঘটনা সংঘটিত হয়নি। কিছুদিন আগে দুই জঙ্গি পালিয়েছে। তারা কেন পালিয়েছে, আমরা তাদের ধরার জন্য চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এলে সেটা পরিষ্কার হবে এবং সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে এটা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
সম্প্রতি দুই জঙ্গি পালানোর বিষয়টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দাবি করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। একটা ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, তার জন্য আমরা যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আমরা তা নিচ্ছি। এটা (দুই জঙ্গি পালানো) একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রস্তত এবং তারা তাদের পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছে। এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।
আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আমরা সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করেছি। সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। যে এলাকার জন্য যেরকম নিরাপত্তাব্যবস্থা দরকার সেই অনুযায়ী আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা খ্রিষ্ট্রান ধর্মের ভাইবোনদের আশ্বস্ত করতে চাই, বড় দিন উপলক্ষে তারা উৎসবমুখর পরিবেশে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন। আমরা এখানে তাদের সাথে এসেছি বড় দিনের অনুষ্ঠানে শরিক হতে। আমরা জানি, আনন্দ ভাগাভাগি করলে তা বৃদ্ধি পায়। সেজন্যই আমরা এখানে এসেছি। তাদের আনন্দের মাত্রাটা ভাগাভাগি করে বৃদ্ধির জন্য। তারা যেকোনো ধরনের সহায়তা চাইলে আমরা সেই সহায়তার হাত প্রসারিত করার জন্য প্রস্তুত আছি।
এসময় তার সাথে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।