অপরাধীদের দিয়ে পাহাড়কে অশান্ত করেছে জিয়া : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

SHARE

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সকল অপরাধীদের জড়ো করে পাহাড়ে পুনর্বাসিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
তিনি বলেন, ‘অপরাধীরা পাহাড়ের পরিবেশ অশান্ত করতে কাজ করেছে। পাহাড়ে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফাকে অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন জিয়া। এনিয়ে দীর্ঘদিন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপড়েন চলেছে।’
আজ শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপে শামসুল হক মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পাহাড়ে সম্প্রীতি’ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জিয়া-এরশাদ শাসনামলের প্রসঙ্গ টেনে কে এম খালিদ বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় সামরিক শক্তিগুলো পাহাড়কে অশান্ত করে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এখন পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইছে। তবে পাহাড়িদের নিজেদের মধ্যে সংঘাত রয়েছে। আনসারুল্লাহ বাংলাটিমসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীগোষ্ঠী পাহাড়ে আশ্রয় নিয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে।
জিয়া পরিবারের সবাইকে খুনি আখ্যা দিয়ে খালিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চারনেতাকে হত্যায় জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ পরিকল্পনা ও অংশগ্রহণ ছিল। তারেক রহমানের হাতে আওয়ামী লীগ পরিবারের ২৪ জনের রক্ত লেগে আছে। এই পরিবারের সবার হাতে খুনের রক্ত।
পাহাড়ের পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ফায়দা নেওয়ার জন্য একটি মহল তৎপর আছে মন্তব্য করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নন বলেন, ওখানে কেএনএফ নামে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের জন্ম হয়েছে। সেখানে আমাদের দেশেরই কিছু বাঙ্গালিকে জঙ্গিবাদের ট্রেনিং দিচ্ছে অর্থের বিনিময়ে। কত যুবক বাড়ি থেকে চলে যায়, পরে পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়ে গ্রেফতার হয়।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলসহ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়।