পঁচাত্তরে হত্যাকাণ্ডের পরই ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয় : প্রধানমন্ত্রী

SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পঁচাত্তরে হত্যাকাণ্ডের পরই ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও জয় বাংলা স্লোগানও নিষিদ্ধ হয়ে যায়। অবৈধভাবে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা হয়। জাতির পিতার করে দেওয়া সংবিধানও ক্ষত-বিক্ষত করা হয়।
আজ শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ৫ম জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কখনো কোনো হত্যাকাণ্ড হলে আমার কাছে যখন বিচারের দাবি করে, তখন আমার মনে হয়- আমার বাবা-মা-ভাইদের হত্যার বিচার পেতে ৩৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবুও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া ও জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, তারা ভোট দিয়েছেন বলেই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে পেরেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, এখনো কিছু খুনির শাস্তি নিশ্চিত হয়নি। একজন খুনি আমেরিকায়, আরেকজন কানডায়, দুইজন পাকিস্তানে। আরকেজনের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। আমেরিকা একজন খুনিকে লালন-পালন করছে। অবশ্য আমেরিকার আচরণই এরকম। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে, তাদের ধরে এনে যেভাবেই হোক শাস্তি নিশ্চিত করব। এটাই আমি চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। দুই মাস পরপর ঋতু বদলায়। প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনও বদলে যায়। যে কারণে তারা (বিরোধীরা) ভুলে যায় আমরা কী কী উন্নয়ন কাজ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আমরা করে দিয়েছিলাম। এখন প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। আমাদের দেশে মাতৃ মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহার বেশি ছিল। মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য বিনা পয়সায় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
কিছু লোক দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থা রাখতে পারে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু ধনী লোক সর্দি-কাশি হলেই বিদেশে চলে যায়। করোনার সময় তারা বিদেশে যেতে না পেরে বাধ্য হয়েই দেশে চিকিৎসা নিয়েছে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় আওয়ামী লীগেরসহ সংগঠনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।