যশোর জনসভায় আজ বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ যশোর জেলা স্টেডিয়ামে এক জনসভায় বক্তৃতা দেবেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা উপলক্ষে যশোর এখন একটি উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। জেলার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণের মাঝে উৎফুল্লতা বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার এ জনসভাকে কেন্দ্র করে শুধু যশোরের নেতাকর্মীরাই নয় বরং গোটা দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
যশোরের সর্বস্তরের মানুষের দাবি, স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও কালনায় মধুমতি সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এর ফলে যশোরসহ এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থা এবং মানুষের জীবনযাত্রায় উন্নয়ন ঘটেছে। এ উন্নয়ন ও দিন বদলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে এবং তার মুখে আগামীর বার্তা শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের বাকি চাওয়া-পাওয়া পূরণ করবেন, এমন প্রত্যাশাই এই অঞ্চলবাসীর।
যশোরবাসীর দাবিগুলো নিয়ে ইতোপূর্বে মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন যশোরবাসী। যশোরবাসীর প্রত্যাশা তাদের প্রাণের দাবিগুলো আমলে নিয়ে ২৪ নভেম্বর স্টেডিয়ামের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাবি বাস্তবায়ন-উন্নয়ন প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দেবেন।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেন, খুলনা বিভাগের দশ জেলার আট লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে আজকের এই জনসভায়। গোটা শহরে পা রাখার জায়গা পাওয়া যাবে না। জননেত্রীর জনসভা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে ৪০০ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সমাবেশস্থল ও জনসভায় আগতদের সহযোগিতা করতে শহরের প্রবেশমুখে থাকবেন।
প্রসঙ্গত, আজ বৃহস্পতিবার যশোরে আসছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি ও কর্মযজ্ঞ ইতোমধ্যে শেষ করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা ও প্রশাসন। দলীয় ফোরামে এবং প্রশাসনে চলছে এখন শেষ সময়ের সর্বোচ্চ সতর্কতা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় ব্যনারে ঢাকার বাইরে প্রধানমন্ত্রীর এটিই প্রথম জনসভা।তার আগমন ঘিরে গোটা যশোর জেলা এখন নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে। নেতাকর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগের স্মরণকালে এটিই সবচেয়ে বৃহত্তম জনসমাবেশ হতে চলছে। বৃহত্তর যশোর জেলাসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকেও কয়েক লাখ নেতাকর্মী এ সমাবেশে যোগদান করবেন। জনসমাবেশ রূপ নেবে জনসমুদ্রে।