আগামী বছর পায়রা বন্দর ব্যবহার করা যাবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

SHARE

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে পায়রা বন্দর ব্যবহার করা যাবে। নৌপথকে কার্যকরীভাবে ব্যবহার করা হলে সমস্যা কমে যাবে।
আজ রোববার (২০ নভেম্বর) প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দৈনিক ইত্তেফাক আয়োজিত ‘বাংলাদেশের শিপিং খাত-বাস্তবতা ও করনীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
দেশে সর্বক্ষেত্রে স্কিলড লোক তৈরি হয়ে গেছে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল ও আটটি জলযান উদ্বোধন করেছেন। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে আপনারা পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারবেন। ৬০০-৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্ধারমানিক নদীর ওপরে অত্যাধুনিক চার লেন বিশিষ্ট সেতু করা হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। আমাদের দেশে সর্বক্ষেত্রে এখন স্কিলড লোক তৈরি হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সমস্যা রয়েছে, সরকারও সে কথা বলছে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকার পদক্ষেপ নেবে। আমরা চাই চট্টগ্রাম বন্দর, পায়রা বন্দর ও মংলা বন্দর দিয়ে পণ্যগুলো ওয়াটার ওয়ে দিয়ে আসুক। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
নৌপথের কার্যকর ব্যবহারে সমস্যাগুলো অনেকাংশেই কমে যাবে মন্তব্য করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তারপুর, কুমুদীনিতে টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে। খানপুরে টার্মিনাল তৈরির বিষয়ে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটেও একটা টার্মিনাল তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ফান্ডে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পোর্টগুলোতে যেন ২০০ থেকে ৩০০ জাহাজ আসতে পারে সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সর্বোপরি নৌপথকে কার্যকরীভাবে ব্যবহার করা হলে সমস্যাগুলো অনেকাংশেই কমে যাবে।’
দেশের অর্থনীতি সচল আছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি রিজার্ভসহ নানান বিষয়ে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। আপনার জানেন, তিন মাসের মতো রিজার্ভ থাকাটা সন্তোষজনক। আমাদের তার চেয়ে বেশি আছে। করোনা পরবর্তী সময়ে লেনদেন বাড়ায় রিজার্ভ কিছুটা কমে গেছে। দেশের অর্থনীতি সচল আছে বলেই প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫০টি শিল্প ইউনিট উদ্বোধন করেছেন।’