‘বিনিময়’ উদ্বোধন করলেন সজীব ওয়াজেদ জয়

SHARE

ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং বা এমএফএস ও পিএসপির মধ্যে আন্তঃলেনদেনে ‘বিনিময়’ নামে নতুন এক সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সেবার মাধ্যমে বিকাশ থেকে রকেটে অথবা উপায় থেকে এমক্যাশে বা বিকাশে কিংবা ব্যাংকে তাৎক্ষণিক লেনদেন করা যাবে একটি অ্যাকাউন্ট দিয়ে। এতে করে গ্রাহক পর্যায়ে লেনদেন সেবা আরও সহজ হয়েছে।
আজ রোববার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ডিজিটাল লেনদেনের এ প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমরা যখন ক্ষমতায় আসলাম, তখন টু-জি ছিল, এখন আমরা ফাইভ-জিতে চলে এসেছি।
তিনি বলেন, আমরা যখন ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন প্রকাশ করি, তখন ডিজিটাল বলতে কিছুই ছিল না। বিশ্বের কোথাও ডিজিটাল দেশ গড়ার কোনো ফ্রেমওয়ার্ক ছিল না। আইএমইফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদের ডিজিটাল দেশ গড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিত। তাদের স্বপ্ন ছিল আমাদের দেশে তাদের নিজস্ব কনসালটেন্ট আসবে, একটা প্রজেক্ট করতে ৫-৬ বছর সময় লাগাবে এবং নিজেদের মতো কাজ করব। আমি বলেছি, দরকার নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা নিজেরাই করব।
‘বিনিময়’ ওয়েবভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যা একটি সেবা হিসেবে ব্যাংক, এমএফএস ও পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে যুক্ত হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি (আইডিয়া) প্রকল্প এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে। এটি তৈরিতে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে ভেলওয়্যার লিমিটেড, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ ও ওরিয়ন ইনফরমেটিকস লিমিটেড। ‘বিনিময়’ প্লাটফর্মটি রক্ষণাবেক্ষণ করবে ভেলওয়্যার লিমিটেড।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকার সব ব্যাংক, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস এবং পেমেন্ট সিস্টেম প্রোভাইডারদের সব অ্যাকাউন্ট ইন্টারঅপারেবল করার উদ্যোগ নিয়েছে। এটি গ্রাহক, ব্যবসায়ী, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি), ই-ওয়ালেট, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লেনদেনের সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করবে। ‘বিনিময়’ সব ধরনের আর্থিক লেনদেনকে সাশ্রয়ী, সহজ এবং স্বচ্ছ করে তুলবে, যার মধ্যে রয়েছে কর্মচারীদের বেতন প্রদান, রেমিট্যান্স পাঠানো, ট্যাক্স/ভ্যাট প্রদান, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ এবং ই-কমার্স লেনদেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে আইডিটিপি’র খরচ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বিকাশ থেকে রকেটে টাকা পাঠাতে (প্রতি হাজারে) খরচ হবে ৫ টাকা। আর এমএফএস সেবা (বিকাশ, রকেট ইত্যাদি) থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে (প্রতি হাজারে) খরচ হবে ১০ টাকা। অপরদিকে এমএফএস থেকে পেমেন্টে সার্ভিস প্রোভাইডারের (পিএসপি) অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে খরচ হবে হাজারে ৫ টাকা।