শিল্পীরাই সংস্কৃতির ধারক ও বাহক : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

SHARE

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের মাধ্যমে শিগগিরই আরও ২০ জন শিল্পীর ওয়েবসাইট তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, শিল্পীরাই সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। তাদের সৃজনশীল কর্ম সংরক্ষণের পাশাপাশি যথাযথ রয়্যালটি প্রাপ্তির অধিকারও এই মাধ্যমে নিশ্চিত হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় আরকাইভস ভবনে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস আয়োজিত ‘মরমি কবি হাসন রাজা, বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম এবং রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীতকর্মের ওয়েবসাইট উদ্বোধন’ এবং রয়্যালিটির চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির তিনি বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্পীদের সৃজনশীল সৃষ্টিকর্ম চিরস্থায়ী করে রাখতে ও নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সংগীতসংশ্লিষ্ট তিনটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ, সিঙ্গার্স অ্যাসোসিয়েশন ও মিউজিক কম্পোজার্স সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ সভা করে ঠিক করবেন কোন ২০ জন শিল্পীর ওয়েবসাইট তৈরি করা হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে।
রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস মো. দাউদ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সাবেক রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস জাফর রাজা চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিল্পীদের কল্যাণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের ১৮তম দপ্তর হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে ‘বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংস্থাটিতে সিড মানি হিসেবে ৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন। বর্তমান সরকার সংগীতসহ শিল্পের বিভিন্ন শাখার পৃষ্ঠাপোষকতা, চর্চা, সংরক্ষণ ও প্রসারে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নান্দনিক স্থাপত্য নকশায় নির্মাণাধীন ১৩ তলা কপিরাইট ভবনের একটি ফ্লোর ‘মিউজিক মিউজিয়াম’ প্রতিষ্ঠার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গানসমূহের ডিজিটাল আর্কাইভিংয়ের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন সংগীত শিল্পী খুরশিদ আলম, রফিকুল আলম, সুজিত মোস্তফা, মনির খান, গীতিকবি আসিফ ইকবাল, ব্যান্ড সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা ও সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু।
জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, শিল্পীদের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি একটি অনন্য উদ্যোগ। তিনি বলেন, ডিজিটাল আর্কাইভিং শিল্পীদের সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণের পাশাপাশি দেশের জন্য রেমিট্যান্স আয়ের একটি বড় উৎস হতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী গত এক বছরে শাহ আব্দুল করিমের গানের রয়্যালটি বাবদ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যম হতে প্রাপ্ত ১০ হাজার ডলারের চেক তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।