নৌ-সম্পদ সুরক্ষায় আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

SHARE

নৌ-সম্পদ সুরক্ষায় পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার জন্য নৌ-পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
নৌ-পুলিশের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দেয়া বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি। আগামীকাল শনিবার (১২ নভেম্বর) নৌ পুলিশের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নৌ-পুলিশের সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ দেশের সর্ববৃহৎ ঐতিহ্যবাহী একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২৫ মার্চ কালরাতে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশের অকুতোভয় সদস্যরা প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালনকালে আত্মোৎসর্গকারী বীর পুলিশ সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন রাষ্ট্রপ্রধান।
নদীমাতৃক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নৌ পথের গুরুত্ব অপরিসীম এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, গণ পরিবহন, পণ্য পরিবহন ও মৎস্য আহরণসহ বিভিন্ন কাজে অভ্যন্তরীণ নৌ-পথের ব্যবহার বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষতে নৌ-পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে নৌ পুলিশ ইউনিট যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যবধি নৌপথে নিরাপত্তা বিধানসহ মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও সংরক্ষণ, নদী দূষণ প্রতিরোধ ও অবৈধ বালুমহালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় নৌ পুলিশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং নৌ সম্পদ সুরক্ষার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে নৌপুলিশ পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে-এটাই সবার প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনসেবা নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, শৃঙ্খলা, নিষ্ঠা এবং পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নৌ পুলিশ আরও জনঘনিষ্ঠ ও জনবান্ধব হয়ে উঠবে। নৌ পুলিশের অব্যাহত সাফল্য কামনা করেন তিনি।
সূত্র: বাসস