ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি দর্শকদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা

SHARE

ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি দর্শকদের খেলা দেখতে আসার জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে আয়োজক দেশ কাতার। ফুটবলের নির্বাহি সংস্থা ফিফার পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
কাতার ও ইসারায়েলের মধ্যে কোন ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সে কারনেই বিশ্বকাপের সময় অস্থায়ীভাবে গুটে কয়েক ফ্লাইট চালু করা হয়েছে শুধু ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সমর্থকদের জন্য, ফিফার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
চার্টার এই ফ্লাইটে কতজন ফিলিস্তিনি সমর্থক থাকবেন সে ব্যপারে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জন্য ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফিফা জানিয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তাজনিত সব ধরনের শর্ত মেনেই ফিলিস্তিনিদের জন্য কাতারে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই চার্টার বিমানে যাতায়াতকারী সব দর্শককে অবশ্যই ম্যাচ টিকিট ও কাতারের বিশেষ ফ্যান পাস ‘হায়া কার্ড’ থাকতে হবে। কূটনৈতিক সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে ১০ হাজারের বেশী ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সমর্থক ইতোমধ্যেই ম্যাচ টিকিট ও হায়া কার্ড সংগ্রহ করেছেন।
বিশ^কাপ আয়োজক দেশের জন্য আরোপিত ফিফার শর্তানুযায়ী কাতার কোন দেশের সমর্থকদের তাদের দেশে প্রবেশে নিষেধ করতে পারবে না। এ কারনেই ইসারায়েলি সমর্থকদের বিশ^কাপ দেখার সুযোগ করে দেবার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলে আসছিল। একটি সূত্র জানিয়েছে কাতার বিশেষ এই বিমানে শুধু ফিলিস্তিনিদের আনার ব্যপারে মত দিয়েছিল।

ইসারায়েলের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ কাতারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করেছি। শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্য বিশ^কাপ দেখার সুযোগ হচ্ছে। বিশ^কাপ দেখতে আসা ইসরায়েলিদের জন্য সব ধরনের তথ্য প্রদানের লক্ষ্যে আমরা কাতারে একটি ইসরায়েলি অফিসও চালু করেছি।’
এ ব্যপারে ফিফা জানিয়েছে ইসরায়েলি কনস্যুলার বিভাগের পরিচালনরায় আন্তর্জাতিক ট্র্যাভেল কোম্পানি নামক অফিসটির কার্যক্রম আগামী ১৮ ডিসেম্বর শেষ হবে।