দেশে ৮টি হাসপাতাল হলে রোগীদের বিদেশ যাওয়া লাগবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

SHARE

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের আট বিভাগে ৮টি আধুনিকায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এসব হাসপাতালে প্রায় ৪ হাজার শয্যা থাকবে। এই হাসপাতালগুলো নির্মাণ হলে রোগীদের আর বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
আজ বুধবার বেলা পৌনে ১১টায় খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের ক্যাথল্যাব, আইসিইউ, সিসিইউ এবং ডায়ালাইসিস বিভাগ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। কারণ জনবল ও যন্ত্রপাতির ঘাটতি রয়েছে। জনবলের ঘাটতি থাকলে চিকিৎসায় কিছুটা ঘাটতি হতে পারে, তবে আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। আমরা ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, দেশে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। ইতোমধ্যেই প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এবং ২০০ জনের মতো মারা গেছে। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার যথেষ্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। শয্যা বরাদ্দ আছে, ওষুধ আছে, চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন তা আছে। ডেঙ্গু চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি নেই।
মন্ত্রী পরে বেলা ১১টায় নগরীর একটি হোটেলে বিভাগের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় তিনি বলেন, খুলনা বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যসেবার মান সন্তোষজনক, তবে এটা আরও ভালো করতে হবে। দেশের দরিদ্র মানুষ স্বাস্থ্যসেবার জন্য সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। ডাক্তারদের কর্মক্ষেত্রে রোগীদের প্রতি মানবিক আবেগ থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার সকল জেলা হাসপাতালে ১০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। করোনাকালে দেশের ১২০টি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়। দেশে চলমান সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সফলতা ৯৮ শতাংশের বেশি। দেশের জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোর শতভাগ শয্যায় রোগী ভর্তি থাকছে, যা দেশের স্বাস্থ্যসেবার ওপর মানুষের আস্থার বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলো সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ভালো থাকলে রোগীরা ভালো সেবা পাবে। রোগীর চিকিৎসা ব্যয় কমাতে রোগ নির্ণয়ের সকল পরীক্ষা যথাসম্ভব সরকারি হাসপাতালে করানোর চেষ্টা করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু: আনোয়র হোসেন হাওলাদার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ।