টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরল টাইগাররা

SHARE

হতাশাজনকভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শেষে সোমবার রাতে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। যদিও ফলাফল বিবেচনায় ইভেন্ট ইতিহাসে এটিই তাদের টাইগারদের পারফরমেন্স ছিল।
বিশ্বকাপের আগের ৭ আসরের মূল পর্বে মাত্র একটি জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেটি ছিল ২০০৭ সালে বিশ^কাপের প্রথম আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি জয় পায় বাংলাদেশ।
তারপরও এবারের বিশ^কাপ মিশন হতাশাজনক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উপমহাদেশের দুই জায়ান্ট ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের কাছে গিয়েও ম্যাচ দু’টি হারতে হয় টাইগারদের। ম্যাচ জয়ী পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি তারা।
তবে দুই ম্যাচেই ভাগ্য সহায়ক হতে পারত বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে বৃষ্টি বিরতির পর ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ৫৪ বলে ৮৫ রান দরকার ছিল টাইগারদের। এ লক্ষ্যটি সম্ভব ছিল। কিন্তু ভীতি এবং অভিজ্ঞতার অভাবে বাংলাদেশ ৫ রানে ম্যাচটি হেরেছে বলে মনে করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
যদিও বৃষ্টি বিরতির আগে ভারতের তারকা খেলোয়াড় বিরাট কোহলির ফেক থ্রোটি আম্পায়ারদের কাছে উপস্থাপন করেছিলেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তার মতে, বাংলাদেশকে পাঁচটি পেনাল্টি রান দেওয়া উচিত। এটি আমলে নেননি আম্পায়াররা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে মন্থর উইকেটে ভালো স্কোর ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সাকিব আল হাসানের একটি বিতর্কিত আউট মোমেন্টাম নষ্ট করে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ।
একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই আক্ষরিক অর্থে কোন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচটি ১০৪ রানে হেরেছিলো টাইগাররা। যা এই ফরম্যাটে রান বিবেচনায় সবচেয়ে বড় ব্যবধানে লজ্জার হার ছিলো বাংলাদেশের।
ঘাম ঝরিয়ে নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি জয় পেতে হয় বাংলাদেশকে। ওই ম্যাচ দুটি হারতে পারতো টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ভাগ্য রক্ষা করে তাদের। এমন ভাগ্য ভারত ও পাকিস্তনের বিপক্ষে ম্যাচে তাদের সঙ্গে ছিল না।
অধিনায়ক সাকিব, সহ-অধিনায়ক সোহান ও অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ ছাড়া দলের বাকি সকল খেলোয়াড়ই দেশে ফিরেছেন। পরিবারের সাথে সময় কাটাতে সাকিব যুক্তরাষ্ট্রে গেলেও, বাকি দুই খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। ছুটি দেয়ায় অস্ট্রেলিয়া থেকে সরাসরি নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন দলের কোচিং স্টাফরা।
এদিকে চুক্তি অনুযায়ী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই ছিল টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরন শ্রীরামের শেষ অ্যাসাইনমেন্ট। তার সাথে চুক্তি বৃদ্ধি করা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যে শ্রীরামের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।