জুভেন্টাসকে হারিয়েও হতাশ মেসি-এমবাপ্পের পিএসজি

SHARE

ফুটবল মাঠে জয় যে কোনো দলের জন্যই স্বস্তির। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেই জয়ের দেখাও পেয়েছে পিএসজি, কিন্তু তারপরও হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদেরকে। জুভেন্টাসের বিপক্ষে জিতলেও অপর এক ম্যাচে বেনফিকার বড় জয় পাল্টিয়ে দিয়েছে সকল হিসাব-নিকাশ। ম্যাকাবি খাইফাকে বড় ব্যবধানে হারানোর মধ্য দিয়ে পিএসজিকে টপকিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছে তারা।
বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের শেষদিনের খেলায় ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে পিএসজি। জুভেন্টাসের বিপক্ষে এদিন নেইমারকে ছাড়াই মাঠে নামে লিগ ওয়ানের দলটি। দলের অন্যতম মূল তারকা নেইমার না থাকলেও শুরুতে লিড পেতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি ফরাসি ক্লাবকে।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় পিএসজি। লিওনেল মেসির পাস ধরে ডান দিকে এগিয়ে যান এমবাপে। দুই ডিফেন্ডারের বাঁধা এড়িয়ে জোরালো শটে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। এক গোলে পিছিয়ে পড়া জুভেন্টাস ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। বেশ কিছু গোছানো আক্রমণ করলেও পিএসজির গোলকিপারের কল্যাণে গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। তবে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে সমতায় ফিরে জুভেন্টাস।
কুয়াদরাদোর বাড়ানো বল পিএসজির দোন্নারুম্মা ফিরিয়ে দিলেও স্লাইডে বিনা বাধায় জালে বল পাঠান বোনুচ্চি। প্রথমার্ধের বাকি সময় আর গোল না হলে ১-১ গোলে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে দুই দলই গোলের চেষ্টা করে। তবে কখনো ডিফেন্ডার কিংবা কখনো বাজে ফিনিশিংয়ের জন্য গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোনো দলই। তবে ম্যাচের অবস্থার পরিবর্তন ঘটে ৬৯ মিনিটে। পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেই গোলের দেখা পান মেন্দেস। এমবাপের থ্রু পাস ধরে কুয়াদরাদোকে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে জয়সূচক গোলটি করেন তিনি। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।