দেশেই টিবির ওষুধ তৈরি হচ্ছে, রপ্তানি হবে বিদেশে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

SHARE

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশেই টিবির ওষুধ তৈরি হচ্ছে। এগুলো দেশে ব্যবহারের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করব। একই সঙ্গে দেশে ভালো মানের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টিবিতে আমাদের যে বাজেট বরাদ্দ রয়েছে প্রয়োজনে তা বাড়ানো হবে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ডিসসিমেশন অন নাইনথ টিবি জয়েন্ট মনিটরিং মিশন’-বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা টিবি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। আগে ৭০ থেকে ৮০ হাজার মারা যেত। এখন ৪০ হাজারে নেমে এসেছে। সেই সংখ্যাও কম নয়। তবে আমরা টিবি চিকিৎসায় অনেক অগ্রগতি লাভ করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রতিটি হাসপাতালে জিন এক্সপার্ট মেশিন রয়েছে। কিন্তু শুধু মেশিন থাকলে হবে না। মেশিনের সাহায্য টিবি শনাক্ত করতে মানুষকে হাসপাতালে আসতে হবে। এখন চিকিৎসা নিচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। বাকি অংশের চিকিৎসার জন্য টিবি শনাক্ত করা জরুরি।
মন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কমিনিউটি পর্যায়ে বেসিক চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে যারা আছেন তারা তেমন শিক্ষিত না। তারা প্যারামেডিক। তাই সেখানে টিবি চিকিৎসা দেয়া যাবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, সংক্রামক অনেক ব্যাধির মতই টিবি একটি। মাঝেমধ্যে মহামারির মতো সংক্রামক ব্যাধি আসে। এর মধ্যে করোনা মহামারি আসলো। আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি বলেই টিবির কার্যক্রম চালাতে পারছি। আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো বাংলাদেশ ভ্যাক্সিন দিয়েছে ৯০ শতাশ এবং বিশ্বে এই সংখ্যা ৭০ শতাংশ।
মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি ২০৩০ সালের মধ্যে টিবিও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনব। আগে টিবি অবহেলা করা হতো। ধরেই নেয়া হতো এটা বয়ষ্কদের হয়। কিন্তু টিবি শিশুদেরও হয়। এখন টিবি চিকিৎসা আগের চেয়ে অনেক ভালো হচ্ছে। মৃত্যুহার কমে এসেছে। টিবি শূন্য সংখ্যায় আনতে আমাদের ২০৩০ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সবার সহযোগিতা জরুরি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশিদ আলম বলেন, যারা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন তাদের অর্থনৈতিক সাপোর্ট, মেডিক্যাল সাপোর্ট এবং পুষ্টি সরবরাহের যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সেটা খুবই ফলপ্রসূ হবে। টিবি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যখাতে সমস্ত কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকার কাজ করছে। বিনামূল্যে যক্ষার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দরকার এবং ভালো টেকনিশিয়ান দরকার যক্ষা চিহ্নিত করার জন্য।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মুস্তফা জালাল মাহিউদ্দিন, ইউএইড বাংলাদেশের ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর ক্যারি রাসমুসান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বার্ডান জাং রানা প্রমুখ।