মেয়েদের আকাশ হোক মুক্ত : শিক্ষামন্ত্রী

SHARE

মেয়েদের প্রতিভার যথাযথ বিকাশের জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, মেয়েদের মাথার ওপরে থাকবে মুক্ত আকাশ। তারা সবখানে নিরাপদে, সম্মান নিয়ে, তাদের সব সৌন্দর্য ও মেধা নিয়ে বিরাজ করবে। নারী-পুরুষ সবাইকে নিয়েই পৃথিবী। কাউকে বাধা দিলে তার বিকাশ ঘটে না।
আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) বাংলা একাডেমিতে কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে ‘রুম টু রিচ’ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তার ক্যারিয়ারের গল্প শোনান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ক্যারিয়ার প্লানের ব্যত্যয় ঘটেনি। রাজনীতি করার জন্য এবং সেটা ভালো করে বুঝেশুনে করার জন্য, দক্ষতা নিয়ে জনসেবা করতে পারি সে জন্যই ভিন্ন ডাক্তারি পড়েছি, আইন পড়েছি, জনস্বাস্থ্য নিয়ে পড়েছি। ভিন্ন ভিন্ন বিষয় পড়লেও লক্ষ্য ছিলো একটাই জনসেবা অর্থাৎ রাজনীতি।
কী হতে চেয়েছিলেন, লক্ষ্য কি বদল হয়েছে— শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজনীতির একটি পরিবেশের মধ্যে বড় হয়েছি। একদম ছোট বেলায় যখন আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করত, তুমি বড় হলে কী হবে আমি বলতাম রাজনীতিক হব? তারপর আস্তে আস্তে যখন বড় হয়েছি তখনও ভাবিনি যে, অন্য কিছু হব। ছোটবেলায় বলার সময় যুক্তি দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করতাম, সে জন্য অনেক সময় আত্মীয়স্বজনরা বলতেন এই মেয়ে বড় হলে ব্যারিস্টার হবে। আমাদের দেশে ভালো উকিল ভাবলেই এই শব্দটা ব্যবহার করে ব্যারিস্টার হবে। তবে আমার নিজের কখনো মনে হয়নি যে, ব্যরিস্টার হব।
তিনি বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর যখন কোথায় কী পড়বো ভাবার সময় এলো, সে সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলোম হয়তো সাহিত্যে পড়ব, না হলে পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে পড়বো, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করব আর সেই সঙ্গে রাজনীতি করব। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শুনলে আবার বলবেন যে, দেখেন ঠিকই শিক্ষকতা ও রাজনীতি একই সঙ্গে করার কথা বলছেন।
দীপু মনি বলেন, তখন তাই (শিক্ষকতা ও রাজনীতি) ভেবেছিলাম। কিন্তু আমার মা খুব জোরেশোরে বলেছেন পেশাজীবী হতে হবে। বাবা বললেন— তুমি রাজনীতি করতে চাও, জীবনটা তোমার, সিদ্ধান্তটাও তোমার। তবে আমার রাজনীতির জীবন থেকে বলতে পারি যে, তুমি যদি চিকিৎসক হও তাহলে মানুষের কাছাকাছি যাওয়া অনেক সহজ হবে। সে কথাটা যখন উনি বললেন, তখন আমি যেহেতু রাজনীতি করবো, তাই ভাবলাম আমি ডাক্তার হবো। তখন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিলাম, (চান্স) হয়েও গেলো। যেদিন থেকে মেডিক্যাল কলেজে ঢুকেছি সেদিন থেকে রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়েছি। এর আগে যেখানে পড়েছি মিশনারিতে সেখানে রাজনীতি করার সুযোগ ছিল না।
এরপর মেডিক্যাল কলেজ থেকে বেরিয়ে আবার আইন পড়েছেন শিক্ষমন্ত্রী। তিনি বলেন, আইন পড়ার সুযোগ হয়েছে, জনস্বাস্থ্য নিয়ে পড়ার সুযোগ হয়েছে। সে হিসেবে যদি বলি ক্যারিয়ার প্ল্যান; সেটির ব্যত্যয় ঘটেনি। রাজনীতিটা করার জন্য এবং একটাকে ভালো করে বুঝেশুনে করার জন্য, জনসেবা যেনও একটু দক্ষতা নিয়ে করতে পারি সে জন্যই ভিন্ন ভিন্ন বিষয় পড়েছি। ডাক্তারি পড়েছি, আইন পড়েছি, জনস্বাস্থ্য নিয়ে পড়েছি। ভিন্ন ভিন্ন বিষয় পড়লেও লক্ষ্য ছিল একটাই জনসেবা, অর্থাৎ রাজনীতি।
আপনার জীবনের আদর্শ ও অনুসরণীয় ব্যক্তি, রোল মডেল কে— একজন ছাত্রীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু; যিনি মানুষকে ভালো বেসেছিলেন, দেশকে ভালোবেসেছিলেন। রাজনীতি করতে এসে এই সময় দেখছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রোল মডেল।