সব হাইওয়ে ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে আনা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

SHARE

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশের সব হাইওয়ে ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। যাতে যেকোনো দুর্ঘটনা ক্যামেরার আওতায় চলে আসে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, হাইওয়ে নিয়ন্ত্রণের জন্য হাইওয়ে পুলিশ গঠন কারা হয়েছে। কিন্তু আমাদের অগোছালো চলাফেরা চলতে থাকলে হাইওয়ে পুলিশ কী করবে? তার জন্য আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি। এরপর সবগুলো হাইওয়ে ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। যেন যেকোনো দুর্ঘটনা ক্যামেরার আওতায় চলে আসে।
তিনি বলেন, কোনো দুর্ঘটনা হলেই আমরা বলি চালককে ধরো। সেই দুর্ঘটনার নায়ক। কিন্তু চালককে না পেলে উত্তেজিত জনতা গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এটি সাধারণ নিয়মের মধ্যে পড়ে গেছে। আমাদের এই প্রবণতা থেকে বের হতে হবে। কারণ, এতে দেশের সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে টেম্পু-ভটভটির জন্য আলাদা লেন তৈরি করা হচ্ছে, যেন হাইওয়ে ফ্রি থাকে। কাজটি করতে পারলে অনেক দুর্ঘটনা থেকে আমরা নিস্তার পাব। কারণ, মহাসড়কে টেম্পু-ভটভটিও দায়ী সড়ক দুর্ঘটনার জন্য।
মন্ত্রী বলেন, বাসচালক কিংবা বাস মালিক কেউ ইচ্ছাকৃত সড়ক দুর্ঘটনা চান না। কারণ, দুর্ঘটনা হলে চালকেরও প্রাণ যেতে পারে। আমাদের দেশে যত প্রাণঘাতী রোগ রয়েছে তার চেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয় প্রতিনিয়ত এবং এতে আহত ও নিহত হনও বেশি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত ‘সোশ্যাল ক্রসফায়ার’-এর প্রিমিয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বুয়েট) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. শামসুল হক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বুয়েট) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ প্রমুখ।