পায়রা বন্দর প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

SHARE

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পায়রা বন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর নির্মাণ করেন। তার স্বপ্নের প্রকল্পের প্রতিটি জায়গায় তাকে সম্পৃক্ত করতে চাই। পায়রা বন্দরকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে জাগরিত অর্থনীতি দেখতে পাচ্ছি।
আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) পায়রা বন্দরের সভাকক্ষে আগামী ২৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পায়রা বন্দরের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মুহিব, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম খান, পায়রা বন্দরের সদস্যত্রয় কমডোর মামুনুর রশীদ, কমডোর রাজীব ত্রিপুরা ও ক্যাপ্টেন এম মনিরুজ্জামান।
সভায় বলা হয়, পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজ ও আটটি জাহাজের উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল, ৬-লেন সংযোগ সড়ক ও সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে যাচ্ছে। আগামি ২৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দর থেকে সাগরের মধ্যে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০-১২৫ মিটার প্রশস্ত, ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার একটি চ্যানেল সৃষ্টি হবে, এতে বন্দরে ৪০ হাজার টন কার্গো বা ৩ হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভিড়ানোর সক্ষমতা তৈরি হবে। ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য ব্যয় হবে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। ড্রেজিং কাজটি করবে বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল।
বন্দরের জন্য নির্মিত আটটি জাহাজ দ্বারা পায়রা বন্দর দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন-বহির্গমন ও চ্যানেলের সংরক্ষণ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারবে। আটটি জাহাজের মধ্যে দুটি পাইলট ভেসেল, দুটি হেভি ডিউটি স্পিডবোট, একটি বয়া লেইং ভেসেল, একটি সার্ভে বোট এবং দুটি টাগবোট।
পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল, ৬-লেন সংযোগ সড়ক এবং সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে টার্মিনালটির তিনটি জেটিতে একত্রে তিনটি বিদেশি কন্টেইনার বা বাল্ক কার্গোবাহী জাহাজ এসে ভিড়তে সক্ষম হবে। বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ৪৫১৬ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে অপারেশনাল কাজ শুরু করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
৬.৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেনের সংযোগ সড়কটি ডিপিপির সংস্থান অনুযায়ী ডিপোজিটরি ওয়ার্কে আওতায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক নির্মাণ করা হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক স্থানীয় দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে নিয়োগ করা হয়েছে এবং কাজের চুক্তি মূল্য ৬৫৫ দশমিক ৫০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কাজটি শেষ হবে। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এর মালামাল পরিবহনের জন্য আন্দারমানিক নদীর ওপর ১ হাজার ১৮০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ৭৪০ কোটি টাকা। কাজটি নির্মাণ করতে আনুমানিক ৩০ মাস সময় লাগবে।