বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট-বাণিজ্য করলে ব্যবস্থা : কাদের

SHARE

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ‘পলিটিক্যাল রুমের’ নামে সিট-বাণিজ্য, ভর্তি-বাণিজ্য করে ছাত্রলীগের ও দলের সুনাম যারা নষ্ট করেছে, তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সিটবাণিজ্য, ভর্তিবাণিজ্য, টাকা নিয়ে পলিটিক্যাল রুম– এই সব যারা করে তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। তাদের খবর আছে, ক্ষমা নাই।’
আজ বুধবার (১৯অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালিত ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে ‘স্বপ্ন ও সম্ভাবনার স্ফুলিঙ্গ- শেখ রাসেল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। যেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়। সভায় শেখ রাসেলের নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তি, দরিদ্র তহবিলে বিশেষ অনুদান ও শিক্ষা উপকরণও বিতরণ করা হয়।
আওয়ামী লীগ করে যারা ‘অপকর্ম’ করছে তাদের হুঁশিয়ার করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। আওয়ামী লীগের নামে অপকর্ম করবেন না। যারাই অপকর্মম করছে তাদের এসিআর কিন্তু নেত্রীর কাছে জমা আছে। শেখ হাসিনার কাছে নমিনেশন চাইবেন, হিসাব আছে। যারাই অপকর্ম করে, গড ফাদারগিরি করে দলের দুর্নাম কামিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তারা কিছুতেই পাবেন না। এটা নেত্রীর পরিষ্কার নির্দেশ। খারাপ আছেন ভালো হয়ে যান। শুদ্ধ হয়ে যান।
দুর্ভিক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, তার পাল্টা জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামীতে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা আছে। যে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক, শেখ হাসিনা তো সেটাই বলেছেন। এখানে অন্যায় কী করেছেন? আর উনি (মির্জা ফখরুল) দেখেছেন বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে নাকি এখন দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। কোথাও একজন মরেছে? সোমালিয়ায় মরেছে। সোমালিয়া গিয়ে দেখুন। বাংলাদেশকে সোমালিয়া বানাবেন না। বাংলাদেশ ইনশাল্লাহ সোমালিয়া-আফগানিস্তান হবে না। বাংলাদেশে সেই পরিস্থিতি হয়নি। সংকট আছে- সেটা প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন। একটা লোকও মরেনি কিন্তু এ পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে। আমাদের খাদ্য আছে, তেলের একটু সংকট আছে। কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। ব্রুনাই থেকেও জ্বালানির ব্যাপারে সহযোগিতার চুক্তি হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল হালিম। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্যসচিব সুজিত রায় নন্দী।