প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ব্রুনাই সুলতান

SHARE

ব্রুনাই দারুস সালামের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৬ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর আগে শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেখানে এক বৈঠকেও মিলিত হন। বৈঠকের পরে সুলতান বঙ্গভবনের ‘দর্শনার্থী বইতে’ সই করেন। এর আগে সন্ধ্যায় তিনি বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
ওই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
তার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শনিবার ঢাকায় পৌঁছান ব্রুনাই সুলতান। দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে বহনকারী বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ব্রুনাই সুলতানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান শেষে একটি সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রা সহকারে সেখান থেকে সুলতানকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদদের স্মরণে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সুলতান। এছাড়া সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ এবং দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন তিনি।
সাভার থেকে সুলতানকে রাজধানীর একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকায় অবস্থানকালে সেখানেই অবস্থান করবেন তিনি।
সুলতান হাসানাল বলকিয়ার তিনদিনের এ সফরে দেশটির সঙ্গে একটি চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করতে চায় বাংলাদেশ।
এটি ব্রুনাই সুলতানের প্রথম ঢাকা সফর। সুলতানের সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন রাজ পরিবারের সদস্য, ব্রুনাইর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা।
গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, ব্রুনাই সুলতানের এ রাষ্ট্রীয় সফরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: দ্বি-পাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি, বাংলাদেশি জনশক্তি নিয়োগ সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, দুই দেশের নাবিকদের সার্টিফিকেটের স্বীকৃতি সংক্রান্ত সমঝোতা।