এনআইডি হস্তান্তর নিয়ে মাথা ঘামাবে না কমিশন : সিইসি

SHARE

নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হস্তান্তরে সরকারের যে সিদ্ধান্ত তা নিয়ে কমিশন মাথা ঘামাবে না বলে জানিয়েছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আজ মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা জানান।
এসময় সিইসি বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হলে তা নিয়ে কথা বলবে ইসি।
তবে জন্মের পর থেকে নাগরিকদের ইউনিক আইডি দেওয়ার সরকারের পরিকল্পনার প্রশংসাও করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
কমিশন থেকে এনআইডি কার্যক্রম নিয়ে গেলেও ভোটার তালিকা স্বচ্ছ থাকবে বলে মনে করেন সিইসি।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির কাজটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অবশ্য আইন না হওয়া পর্যন্ত এই কাজ ইসির অধীনেই থাকবে। গতকাল সোমবার (১০ অক্টোবর) মন্ত্রিসভায় ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন-২০২২’–এর খসড়া মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে আইনের খসড়াটি পর্যালোচনা করে বেশ কিছু বিষয়ে সংশোধন করার বিষয়ে মতামত দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বেশ কিছুদিন ধরে এনআইডি সেবা দেওয়ার কাজটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে আগেও জানানো হয়েছিল, এ কাজ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। কিন্তু একদিকে ইসির ‘আপত্তি’ অন্যদিকে আইন না হওয়ায় এই কাজ সুরক্ষা সেবা বিভাগ করতে পারছিল না। সে জন্যই নতুন আইনের খসড়া গতকাল মন্ত্রিসভায় তোলা হয়েছিল।
বিষয়টি জানিয়ে গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, আইডির কাজটি ইসির চেয়ে সরকারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকা বেশি প্রয়োজন। সে জন্য এটি সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাসপোর্টের কাজটিও হয় সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে। তবে আইনের যে খসড়াটি সুরক্ষা সেবা বিভাগ এনেছে, মন্ত্রিসভা মনে করে এটির আরও পর্যালোচনা হওয়া দরকার।
এসময় গত শনিবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকের হট্টগোল নিয়ে সিইসি বলেন, এটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। এটা নিয়ে এত চিন্তা করার দরকার নেই।