একমাত্র গোলের জয়ে শীর্ষে ফিরলো রিয়াল

SHARE

আগের মৌসুমে নির্বিঘ্নভাবে শীর্ষে থেকে লা লিগা শিরোপা জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এবার সম্ভবত আর সেটা হচ্ছে না। কারণ, বার্সেলোনার তাদের সঙ্গে লেগেই রয়েছে। একবার রিয়াল শীর্ষে তো আরেকবার শীর্ষে থাকছে বার্সা। শনিবার রাতে গেটাফের মাঠে গিয়ে একমাত্র গোলে জয় নিয়ে আবারও শীর্ষে উঠে এলো রিয়াল মাদ্রিদ।

ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এডার মিলিতাও। ম্যাচের বাকি ৮৭ মিনিট দুই দলই আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে খেলেছে। কিন্তু কোনো গোল আর কেউ আদায় করতে পারেনি।

এই জয়ের ফলে ৮ ম্যাচ শেষে রিয়ালের পয়েন্ট দাঁড়ালো ২২। ৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বার্সেলোনা। আজ রাতেই সেল্টাভিগোর মুখোমুখি হবে তারা। এই ম্যাচে জিততে পারলেই আবার শীর্ষে উঠে যাবে জাভি হার্নান্দেজের দল।

গেটাফের মাঠে খেলতে গিয়েছিল রিয়াল। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে কর্নার পেয়ে যায় কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। কর্নার কিক নেন লুকা মদ্রিচ। ভেসে আসা বলে লাফিয়ে উঠে অনেকেই মাথা ছোঁয়াতে চেয়েছিলেন। কেউ গোল করতে এবং কেউ বল ক্লিয়ার করতে। কিন্তু আচমকা ভিড়ের মধ্যে বলটা চলে আসে মিলিতাও-এর মাথায় এবং দুর্দান্ত হেড নেন তিনি। সেটিই জড়িয়ে যায় গেটাফের জালে।

শুরুতেই গোল দেয়া এবং ম্যাচজুড়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত এবং আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেও দেখা গেলো আর কোনো গোল আদায় করতে পারেননি করিম বেনজেমারা।

আগের ম্যাচেই নিজেদের মাঠে ওসাসুনার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে বসে রিয়াল মাদ্রিদ। যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ ২টি পয়েন্ট হারিয়ে বসে তারা। এরপরই অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বাউন্সব্যাক করে রিয়াল। এরপর লা লিগায়ও একমাত্র গোলে জয়ের ধারায়া ফিরে এলো তারা।

রিয়াল ডিফেন্ডার দানি কার্ভাহল ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আজ আমাদের গোলটি ছিল জয়ের জন্য এবং বার্সেলোনার ওপর চাপ তৈরি করার জন্য। আমরা সব সময়ই চাই বেশি বেশি গোল করার জন্য। তবে, আজ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, আমাদের মূল কাজ ছিল ডিফেন্স রক্ষা করা। গোল হজম না কার ছিল সত্যিই অসাধারণ এবং আমাদেরকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে যে, আমরা আবারও জয়ের ধারায় ফিরতে পেরেছি।’

একটি গোল দেয়ার পর আরও অনেকগুলো গোলের সুযোগ তৈরি করে বার্সা। রদ্রিগো খুব কাছ থেকে হেডে গোল করার অসাধারণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন। এছাড়া দুই ম্যাচ পর দলে ফেরা লুকা মদ্রিদের একটি বুলেট শট স্রেফ পোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

এছাড়া রিয়ালের একটি নিশ্চিত পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন রেফারি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার খানিক আগে বক্সের মধ্যেই ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ফাউল করে ফেলে দেন। রেফারি ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি আর বাজাননি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রদ্রিগোর দুর্দান্ত একটি শট চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে। এর দুই মিনিট পর টিচুয়ামেনির বুলেট গতির একটি শট ঠেকিয়ে দেন গেটাফের গোলরক্ষক ডেভিড সোরিয়া। এর কয়েক মিনিট পর রদ্রিগোর একটি গোল রেফারি বাতিল করে দেন ভিএআর দেখে। তিনি নাকি তখন অফসাইড ছিলেন।’