সাহিত্যে নোবেল পেলেন অ্যানি এরনো

SHARE

চলতি বছরে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ফরাসি নাগরিক অ্যানি এরনো। সুইডিশ একাডেমি স্টকহোমে স্থানীয় সময় আজ বুধবার দুপুর ১টায় ২০২২ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করে।
অ্যানি তাঁর লেখায় ‘সাহস এবং ক্লিনিক্যাল তীক্ষ্ণতার’ সমাবেশ ঘটিয়েছেন এবং যার সাহায্যে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতির শিকড় থেকে জীবনবোধের বিচ্ছিন্নতা, সংযম এবং অন্যান্য বিষয় উন্মোচন করার জন্যই তাঁকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি।
এ ছাড়া, তিনি তাঁর লেখায় ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কোণ থেকে, লিঙ্গ, ভাষা এবং শ্রেণি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শক্তিশালী বৈষম্য চিহ্নিত করে জীবনকে পরীক্ষা করে দেখেছেন।
১৯০১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১৪ বার পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে। পেয়েছেন সব মিলিয়ে ১১৯ জন। প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে যথাক্রমে ১৯১৪,১৯১৮ এবং ১৯৪০,১৯৪১, ১৯৪২ ও ১৯৪৩ সালে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি। এর বাইরেও ১৯৩৫ সালেও সাহিত্যে কাউকে নোবেল দেওয়া হয়নি।
নোবেল পুরস্কারের অন্যান্য শাখায় পুরস্কার একই সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির মধ্যে বিভাজিত হতে দেখা গেলেও সাহিত্যের বেলায় বিষয়টি বেশ দুর্লভ। এখন পর্যন্ত মাত্র চারবার পুরস্কারটি দুজন করে বিজয়ীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, সবচেয়ে কমবয়সী হিসেবে সাহিত্যে নোবেল জেতেন রুডিয়ার্ড কিপলিং। ১৯০৭ সালে যখন তিনি তাঁর ‘দ্য জাঙ্গল বুক’ বইয়ের জন্য নোবেল পুরস্কার জেতেন তখন তাঁর বয়স মাত্র ৪১ বছর।
সাহিত্যে নারী বিজয়ীদের সংখ্যাও বেশ কম। ১৯০৪ সালে সেলমা লাগেরলফ প্রথম নারী হিসেবে নোবেল জেতেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে গ্রাজিয়া দালেদা, সিগ্রিড আন্ডেস্ট, পার্ল বাক, গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল, নেলি সাঁচ, নাদিন গার্ডিমার, টনি মরিসন, উইস্লাওয়া সিম্বরস্কা, ডোরিস লেসিং, হের্টা মুলার, এলফ্রিডে এলিনেক, এলিস মুনরো, স্ভেৎলানা এলেক্সিয়েভিচ, ওলগা তেগারচুক এবং ২০২০ সালে লুইস গ্লুক সর্বশেষ নারী হিসেবে সাহিত্যে নোবেল জেতেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত পদার্থ, চিকিৎসা এবং রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল জয়ীরা হলেন—অ্যালাইন আসপেক্ট, জন এফ ক্লসার এবং আন্তন জেলিঙ্গার। চিকিৎসায় নোবেল জিতেছেন সুইডিশ জিনতত্ত্ববিদ সান্তে পাবো এবং রসায়নে নোবেল জয়ী তিনজন হলেন—ক্যারোলিন আর. বের্তোজি, মর্টেন মেলডাল এবং কে. ব্যারি শার্পলেস।