মুক্ত বাণিজ্য করতে সম্মত ঢাকা-নমপেন

SHARE

বাণিজ্য সম্প্রসারণে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করবে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিউইয়র্কের হোটেল লোটে প্যালেসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ চুক্তি করতে সম্মত হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন।

পরে পররাষ্ট্র একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারের লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (Free Trade Agreement) করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীও এ প্রস্তাবে একমত পোষণ করেন।

আব্দুল মোমেন জানান, বৈঠকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়া থেকে বাংলাদেশে চাল রপ্তানির বিষয়ে একটি চুক্তি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে কম্বোডিয়াতে কৃষিভিত্তিক বিনিয়োগ, ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আসিয়ানের চেয়ার হিসেবে কম্বোডিয়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।

পরে হোটেল লোটে প্যালেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কসোভোর রাষ্ট্রপতি ভিজোসা ওসমানি সদরিউ (Vjosa Osmani-Sadriu) এর সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যান্তেনিও ভিতোরিনো।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অভিবাসী প্রেরণকারী দেশগুলো বেশকিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য কার্যকর সুপারিশ দিয়ে আইওএম সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে সহযোগিতা করতে পারে।

লিবিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশে পাচারের শিকার বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী আইওএমকে ধন্যবাদ জানান।

আব্দুল মোমেন জানান, আইওএম-এর মহাপরিচালক অভিবাসীদের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের এবং আইওএম এর মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো আরও প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া একই স্থানে বাংলাদেশ হিন্দু-বুদ্ধিষ্ট-খ্রিস্টিয়ান ইউনিটি কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।