আরাধ্যার মান ভাঙাতে যে উপহার দিতে হয় অমিতাভকে

SHARE

আপাতত জোর কদমে কেবিসি-র কাজ করচেন অমিতাভ বচ্চন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা প্রতিযোগীদের সঙ্গে আড্ডায় ও মাতছেন তিনি। সম্প্রতি অমিতাভের সঙ্গে হট সিটে বসেছিল এবারের সিজনের সবচেয়ে ছোট প্রতিযোগী বৈষ্ণবী কুমারী। বৈষ্ণবী পেশায় একজন কনটেন্ট রাইটার। দিল্লিতে থেকেই কাজ করছেন তিনি। যদিও বাড়ি দেরাদুনে। কোরিয়ান ড্রামা আর জাপানিজ মাঙ্গার উপরে লেখালিখি করেন। খুদে প্রতিযোগীকে নিজের বাড়ির খুদে সদস্য অর্থাৎ আরাধ্যা সম্পর্কে একটি বিশেষ গোপন খবরও ফাঁস করেন অমিতাভ খেলার ফাঁকে।

বৈষ্ণবীর পেশা সম্পর্কে জানতে পেরে বেশ মজা পান বিগ বি। জানান, তিনি এই দুটো ভাষা একফোঁটা জানেন না, তাই কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি। আর একথা শুনে হেসে ফেলেন দেরাদুনের এই কন্যে। এরপর অমিতাভ বলেন, আমার পরের ছবির প্রোমোশন তাহলে আপনিই করবেন। আর এতে বৈষ্ণবীর জবাব, অমিতাভ নামটাই কাফি কোনও সিনেমার জন্য, আলাদা করে প্রোমোশন করার দরকার পড়ে না।

বৈষ্ণবী এরপর অমিতাভকে প্রশ্ন করেন, এত টাইট শিডিউলের মাঝে অমিতাভ কীভাবে সময় বের করেন পরিবারের জন্য, বিশেষ করে ছোট্ট আরাধ্যার জন্য। আর তাতে অভিনেতা জবাব দেন, ‘ও সকালে স্কুলে চলে যায় আর আমি কাজে চলে আসি। স্কুল থেকে আসার পর ওর মা (ঐশ্বর্য রাই বচ্চন) ওকে টাস্ক দেয়। আমার কাজ থেকে ফিরতে অনেক দেরি হয়। তাই আমাদের দেখা হয় না বলললেই চলে। তবে ধন্যবাদ টেকনোলজিকে। আমরা মাঝেমাঝে ফেস টাইমে কথা বলি। মাঝেমাঝে ও আমার উপর রেগে যায়। ওর প্রিয় রং গোলাপি আর হেয়ারব্যান্ড-ক্লিপ খুব পছন্দ করে। তাই তখন আমাকে গোলাপি হেয়ারব্যান্ড উপহার দিতে হয় ওকে, আর ও খুশি হয়ে যায়।’

২০১১ সালের নভেম্বরে জন্ম হয় আরাধ্যার। এখন বয়স ১০। এইটুকু বয়সেই নাচ, আবৃত্তিতে পারদর্শী অমিতাভের ছোট্ট নাতনি। আর ঠিক মায়ের মতোই সুন্দরী। নেটদুনিয়ার খুব প্রিয় এই খুদে।