রাজনীতিতে উচ্চমার্গীয় ভাষার ব্যবহার বাড়াতে হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

SHARE

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, উচ্চমার্গীয় ও সমৃদ্ধ ভাষার প্রয়োগ রাজনীতিতে এখন তেমন দেখা যায় না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হৃদয়গ্রাহী ভাষাশৈলী, শব্দচয়ন ও সমৃদ্ধ ভাষা প্রয়োগের মাধ্যমে আপামর জনসাধারণকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করেছিলেন। তাই রাজনীতিতে উচ্চমার্গীয় ভাষার ব্যবহার বাড়াতে হবে।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আনন্দে বিস্ময়ে হৃদয়ের অনুদিত স্বর’ শিরোনামে আবৃত্তি সংগঠন ‘স্বনন’ এর ৩৭ বছর পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

কে এম খালিদ বলেন, ভাষার বহুবিধ ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম কবিতা। আর কবিতাকে শিল্পরূপে যিনি চর্চা বা আবৃত্তি করেন তিনিই আবৃত্তিশিল্পী। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাচিক ও আবৃত্তিশিল্পীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আবৃত্তিশিল্পীরা তাদের ভাষার প্রয়োগ ও মুন্সিয়ানার মাধ্যমে সমাজে যেকোনো বার্তা সহজে পৌঁছে দিতে পারেন যা অন্যদের পক্ষে সম্ভব হয় না।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবৃত্তি সংগঠন স্বনন বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন একটি আবৃত্তি সংগঠন। সংগঠনটি ৩৭ বছর পূর্ণ করেছে।

এ সময় তিনি সংগঠনটির ৩৭তম বর্ষপূর্তিতে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

কবি মারুফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উৎসব উদ্বোধন করেন বরেণ্য আবৃত্তি ও অভিনয় শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কবি নাসির আহমেদ।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান ও বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী রূপা চক্রবর্তী।