‘বিএনপির কর্মকাণ্ড আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইঙ্গিত’

SHARE

দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে সম্প্রতি রাজপথে টানা আন্দোলনে বিএনপি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীসহ নানা ইস্যুতে সারা দেশে কর্মসূচি দিলেও বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তারা। এতে সরকারের বিরুদ্ধে বাধা দেয়ার অভিযোগ দলটির।

তবে নারায়ণগঞ্জ ও ভোলার ঘটনায় তাদের উপরই দোষ চাপাচ্ছেন ক্ষমতাসীনরা। হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, আন্দোলনের নামে ২০১৩-১৪ সালের মতো নাশকতা মেনে নেয়া হবে না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ জানান, বিএনপিকে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় দেখে মনে হচ্ছে এটি আগামী নির্বাচনে দলটির অংশ নেয়ার প্রস্তুতি।

তিনি জানান, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে চাইতেন, তাহলে বিএনপি অযথা বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে জড়াতো না। তাদের কার্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এ রকম সংহিসতা হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ভাবে সেটা মোকাবিলা করবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ জানান, প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের উচিত রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করা উচিত। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সংহিসতা করার মাঝে কোন সমাধান আসবে না। হুঁশিয়ারি দেন, আন্দোলনের নামে সহিংসতা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার।

সহিংসতা বিষয়ে সতর্ক থাকতে বিএনপির প্রতি পরামর্শও দেন ক্ষমতাসীন দলের এই দু’নেতা।