জন্মদিনে শেখ রেহানাকে আ.লীগের শুভেচ্ছা

SHARE

আজ ১৩ সেপ্টেম্বর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার ৬৭তম জন্মদিনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডে খুনি ঘাতক চক্রের হাতে পরিবারের সব সদস্যকে হারানোর পর বেদনার মহাসমুদ্র বুকে ধারণ করে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দুই বোন ছিলেন একে অপরের শেষ অবলম্বন। দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে দুই বোন কাটিয়েছেন নির্বাসিত ও দুর্বিষহ প্রবাসজীবন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মানব ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম সেই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রথম প্রতিবাদ গড়ে তোলেন শেখ রেহানা।

রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও শেখ রেহানা কখনো সক্রিয় রাজনীতিতে আসেননি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রগতিশীল সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামসহ প্রতিটি সংকটে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের অন্য রাজনীতিকদের অনুপ্রেরণা জোগানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।

শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু এবং জাতির পিতা হওয়ার পেছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের যেমন ভূমিকা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার পেছনেও শেখ রেহানার অনুরূপ ভূমিকা রয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে নীরবে-নিভৃতে ভূমিকা রেখে চলেছেন প্রচারবিমুখ জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। এমনকি তিনি তাঁর নামে বরাদ্দকৃত ধানমন্ডির বাড়িটিও দেশের প্রয়োজনে দান করে দিয়েছেন।

শেখ রেহানা মনেপ্রাণে একজন বাঙালি এবং বাঙালির প্রয়োজনে উদারনৈতিক মানবিক মনোভাবাপন্ন নির্মোহ এক ব্যক্তিত্ব বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে বাঙালির প্রতি তাঁর অসীম মমতা ও ভালোবাসা। দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থরক্ষায় সর্বদা তিনি আপসহীন।

সততার অনুকরণীয় আদর্শ শেখ রেহানা একজন রত্নগর্ভা মা বলে জানিয়ে কাদের বলেন, নিজের তিন সন্তানকে তিনি বিশ্বের খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন, যাঁরা আজ নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল ও প্রতিষ্ঠিত। পিতা বঙ্গবন্ধুকে হারানোর পর সীমাহীন দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়েছেন এবং ধৈর্যের সঙ্গে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেছেন।

তিনি বলেন, লন্ডনের মতো শহরে গণপরিবহনে যাতায়াত করেন। এমনকি আরেক বাঙালি পরিবারের সঙ্গে বাসা ভাগাভাগি করে বাস করেছেন। তার পরও জাতির পিতার নীতি ও আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সত্ত্বেও একজন নিরহংকারী সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপনের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা।