ভারতীয় ঋণে চার লেন হবে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক

SHARE

প্রতিবেশী দেশ ভারতের দেওয়া ঋণে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক চার লেন হবে। ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়ক নির্মাণে দুই হাজার ৮১০ কোটি টাকা ঋণ দেবে ভারত। ‘কুমিল্লা (ময়নামতি)-ব্রাহ্মণবাড়িয়া (ধরখার) জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে সাত হাজার ১৮৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। বাকি চার হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা সরকারি কোষাগার থেকে মেটানো হবে। জুলাই ২০২২ থেকে জুন ২০২৬ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) শেরে-বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হবেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য: কুমিল্লার ময়নামতি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধরখার পর্যন্ত জাতীয় মহাসড়ককে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সমন্বিত উভয়পার্শ্বে ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ করা হবে। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের মধ্যে দ্রুত নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ী সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম: ১০২ দশমিক ৭৯ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন, ১৪ দশমিক ৫১ লাখ ঘনমিটার মাটির কাজ, ৪৯ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট কাজ করা হবে। ৪ দশমিক ৪৭ কিলোমিটার রিজিড পেভমেন্ট, ১ হাজার ২১৮ দশমিক ৪৪ মিটারের ১৪ ব্রিজ, ১ হাজার ৩০ মিটারের একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ২০ মিটারের দুটি আন্ডারপাস, ৩৯৬ দশমিক ৩০ মিটারের ৫০টি কালভার্ট ও ৪৩৮ দশমিক ৯১ মিটারের ১২টি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

আন্তঃআঞ্চলিক যোগাযোগ এবং পণ্য পরিবহনের আন্তর্জাতিক কেন্দ্রস্থল হিসেবে বাংলাদেশের ভৌগলিক গুরুত্ব অপরিসীম। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রতিবেশী দেশ ভারত, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার ও চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়বে। সম্প্রসারিত হবে উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার আঞ্চলিক সংযোগ সড়ক দৃঢ় হবে এবং চট্টগ্রাম বন্দর আন্তঃবাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।