‘ভালো’ প্রতিষ্ঠান টেনে নামালো শেয়ারবাজার

SHARE

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিসংখ্যাক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পরও কমেছে মূল্যসূচক। মূলত ভালো হিসেবে পরিচিত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার কারণে সূচকের এই পতন হয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে দুই বাজারেই কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া দুই কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক ও লেনদেন কমলো। এর আগে গত সপ্তাহসহ টানা চার সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকে শেয়ারবাজার। চার সপ্তাহের টানা উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৪১১ পয়েন্ট। আর বাজার মূলধন বাড়ে ১৯ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা।

এমন টানা উত্থানের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও শেষ পর্যন্ত দরপতনের তালিকা বড় হয়। সোমবারও লেনদেনের প্রথমদিকে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। ফলে লেনদেনের প্রথম একঘণ্টা সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকে।

অবশ্য লেনদেনের শুরু থেকেই দাম কমতে থাকে ভালো কোম্পানি হিসেবে ডিএসইর বাছাই করা প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের, যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ফলে সবকটি সূচকের পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১২৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৫টির এবং ১৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৫২৮ পয়েন্টে নেমে গেছে।

প্রধান মূল্যসূচকের তুলনায় বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকের পতন বেশি হয়েছে। এই সূচকটি আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৬০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৯১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৩৩০ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৯৭ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ১৫৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫৭ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, শাহিনপুকুর সিরামিকস, ইস্টার্ণ হাউজিং, আইএফআইসি ব্যাংক এবং ওরিয়ন ইনফিউশন।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৯১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮১টির এবং ১০০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।