ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে ভূমি বিষয়ক সকল সংকট দূর হবে : ভূমিমন্ত্রী

SHARE

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমির চলমান ডিজিটাল সার্ভের ফলাফল খুবই ভালো। আশা করছি আগামী ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল সার্ভের পূর্ণাঙ্গ উদ্বোধন করবেন। এই সার্ভের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের ভূমি বিষয়ক সব তথ্য এবং সংকট দূর হবে।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে আজ শনিবার সকালে প্রদত্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

ভূমি ব্যবস্থাপনায় ‘ডিজিটাল কর ব্যবস্থা’ প্রবর্তনের জন্য বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার-২০২২ এ সেরা প্রকল্প হিসেবে বিজয়ী হয়েছে। আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ এই অর্জনে বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য ও চেম্বারের সাবেক সভাপতি এমএ লতিফ, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলাম দোভাষ। চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ ও এসএম আবুল কালাম, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এমএ ছালাম, দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও চেম্বারের সাবেক পরিচালক এমএ মালেক প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

সংবর্ধিত অতিথি ভূমিমন্ত্রী চিটাগাং চেম্বারে দায়িত্বরত অবস্থায় ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার নেতৃত্বগুণ অর্জন করেছেন উল্লেখ করে চেম্বারের জ্যেষ্ঠ ও সাবেক পরিচালকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রযুক্তিগত বিপ্লবের পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের কাজের পদ্ধতি এবং পলিসি রিফর্ম নিয়ে কাজ করেছেন বলে জানান, যা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ও ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হচ্ছে।

মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালনকালে সব ব্যক্তিগত স্বার্থের উর্ধ্বে থেকে কাজ করে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা ক্যাবিনেটে আছে বলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘দলিল যার জায়গা তার’ এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ভূমি দখলদারদের দৌরাত্ম্য ও শোষণের হাত থেকে প্রকৃত খতিয়ানভূক্ত মালিকদের রক্ষার্থে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২১’ প্রণয়ন করা হচ্ছে, যা শীঘ্রই জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে।

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি বাণিজ্য মেলার জন্য স্থায়ী ভেন্যুর আবশ্যকতা উপলব্ধি করে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন ভূমিমন্ত্রী।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সরকার জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে। মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল সার্ভে বাস্তবায়িত হলে দেশের ভূমি সংক্রান্ত সকল জটিলতা নিরসন হবে। চট্টগ্রামে বাণিজ্য মেলার কোন স্থায়ী ভেন্যু নেই। তাই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিরিখে চট্টগ্রামে মেলা আয়োজনের একটি স্থায়ী ভেন্যুর জন্য মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।