ইউএস টপচার্টে ‘হাওয়া’

SHARE

গভীর সমুদ্রে চিত্রায়িত মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’। দেশ মাতিয়ে ছবিটি ২ সেপ্টেম্বর উত্তর আমেরিকায় মুক্তি পেয়েছিল। প্রথম সপ্তাহে কানাডার ১৩টি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৭৩টিসহ মোট ৮৬ হলে মুক্তি পায় সিনেমাটি। দ্বিতীয় সপ্তাহেও বেশ কিছু থিয়েটারে মুক্তির দিন গুনছে।

জানা গেছে, মুক্তির প্রথম চারদিনে (লেবার ডে লং উইকেন্ড-এ) ইউএস টপচার্টে চলে এসেছে ‘হাওয়া’। এটিই বাংলাদেশের কোনো সিনেমার প্রথম ইউএস টপ চার্টে প্রবেশের ঘটনা।

সিনেমাটির আন্তর্জাতিক পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর প্রেসিডেন্ট মো. অলিউল্লাহ সজীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ও স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো বাংলাদেশের পেজে এসব তথ্য জানান তিনি।

সজীব বলেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সিনেমার দর্শকদের আগ্রহে বক্স অফিসে একটি ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত দেখেছিলাম আমরা। সে ঝড় যে এত বড় হবে তা ছিল আমাদের কল্পনারও বাইরে। এই আনন্দের ক্ষণে আমি প্রথমেই টিম ‘হাওয়া’ এবং টিম ‘স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো বাংলাদেশ’কে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে উত্তর আমেরিকার দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

সজীব লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হিসেবে ‘হাওয়া’ ইউএস টপচার্টে জায়গা করে নিয়েছে! তাও আবার টপ ৩০-এ, ২৭ নম্বরে অবস্থান করছে ছবিটি। লেবার ডে থাকার কারণে একদিন উইকেন্ড (ছুটি) বেশি ছিল এবার। সেই হিসাবে প্রথম চারদিনে ‘হাওয়া’র গ্রস বক্স অফিস কালেকশন ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬১ ডলার। যার মধ্যে কানাডায় ৮৬ হাজার ৩১২ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রে আয় করেছে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৪৯ ডলার।

এখন পর্যন্ত সিনেমাটি দেখেছেন ২৫ হাজার ৪৪৪ জন। এর মধ্যে কানাডায় ৯ হাজার ৯৩০ জন এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ হাজার ৫১৪ জন দেখেছেন।

সজীব আরও জানান, উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসে এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয় করা বাংলাদেশি সিনেমা ‘দেবী’। ছবিটির আয় ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ৪১৪ ডলার।

‘হাওয়া’ সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন অভিষেক সিনেমায় দেশের পর উত্তর আমেরিকায় তার ছবি এমন ঝড় তোলায় উচ্ছ্বসিত এবং বিস্মিত। তিনি বলেন, আমি উত্তর আমেরিকার দর্শক, টিম ‘হাওয়া’ এবং পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোকে ধন্যবাদ জানাই।