মহামারী মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

SHARE

গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকে পাঁচদিন ব্যাপি বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক সভা (৫ সেপ্টেম্বর-৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২) South East Asian Regional Organization (SEARO) ভুটানের পারো শহরে শুরু হয়েছে। এই সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় SEARO-ভুক্ত দেশগুলো ভবিষ্যতে মহামারী মোকাবিলা, কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাসহ অসংক্রামক ব্যাধি মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণসহ সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একযোগে কাজ করার কৌশল নির্ধারণ করবে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে সভার কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। সভায় SEARO ভুক্ত ১০টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের মধ্যে ৮টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অংশ গ্রহণ করেছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি সভায় ১ম দিনের কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সভায় জানান, ভবিষ্যতে মহামারী মোকাবিলায় বিশে^র শক্তিধর দেশগুলোকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং একইসাথে স্বাস্থ্য গবেষণায় আরো জোড়ালো ভূমিকা রাখতে হবে।

সভায় কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সভায় কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলপ্রসু দিক নির্দেশনা ও সার্বিক পরামর্শের কথাও উল্লেখ করেন জাহিদ মালেক।

উল্লেখ্য, পাঁচদিন ব্যাপি আঞ্চলিক সভায় সদস্য দেশগুলো উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কৌশল অন্যদেশে কীভাবে সাফল্যের সাথে কার্যকরভাবে ব্যবহার করে সাফল্য অর্জন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সভায় বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশ গ্রহণ করেছে। প্রতিনিধিগণ হচ্ছেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, উপ-সচিব খন্দকার জাকির হোসেন, উপ-সচিব মোহাম্মদ শাহাদত খন্দকার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগি অধ্যাপক মেখালা সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আরাফাতুর রহমান।