চট্টগ্রামে নতুন ৫৯ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ

SHARE

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ১৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজ শুক্রবার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর দশ ল্যাবরেটরি এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ৩৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৫৯ জনের মধ্যে শহরের ৪৬ ও নয় উপজেলার ১৩ জন। উপজেলার ১৩ জনের মধ্যে সাতকানিয়ায় ৩ জন, বাঁশখালী ও আনোয়ারায় ২ জন করে এবং রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, মিরসরাই, লোহাগাড়া ও বোয়ালখালীতে একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৪৭ জনে। এর মধ্যে শহরের ৯৩ হাজার ২৩১ জন এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৭১৬ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৫ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭৩৫ ও গ্রামের ৬৩০ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ৪ জন পজিটিভ শনাক্ত হন।

ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪৭টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৩টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৪৯ জনের নমুনায় শহরের ৪ ও গ্রামের ৩ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৩টি নমুনায় শহরের একটি আক্রান্ত শনাক্ত হয়।

বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৪ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৮ নমুনার মধ্যে শহরের ৩টিতে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২৬ জনের নমুনায় শহরের একজনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩ ও গ্রামের একজন আক্রান্ত বলে রিপোর্ট দেয়া হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৮ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৫ ও গ্রামের ৩ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১১ নমুনায় শহরের ৫টি ভাইরাসবাহক শনাক্ত হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৩০ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৬ জনকে আক্রান্ত বলে জানানো হয়।

এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ল্যাব এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো যায়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২৭ দশমিক ৬৬, চমেকহা’য় ১৪ দশমিক ২৮, আরটিআরএলে ৩৩ দশমিক ৩৩, শেভরনে ১০ শতাংশ, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬ দশমিক ৬৬, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩ দশমিক ৮৪, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১২ দশমিক ৫০, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৬ দশমিক ৬৬, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১০ দশমিক ৪১, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৪৫ দশমিক ৪৫ এবং এন্টিজেন টেস্টে ২০ শতাংশ।