টপলের রেকর্ডে সমতায় ফিরল ইংল্যান্ড

SHARE

ইংল্যান্ড : ২৪৬/১০ (৪৯.০ ওভারে)
ভারত : ১৪৬/১০ (৩৮.৫ ওভারে)
ফল : ইংল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রিস টপলে (ইংল্যান্ড)।

সাত বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মাত্র ১৭টি ওডিআই ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়ছে বাঁ হাতি পেসার রিস টপলের। ২০১৬ সালে পোর্ট এলিজাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ উইকেট পেয়েও (৪/৫০) ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা ছেলেটি ইংল্যান্ড দলে অপরিহার্য হতে পারেননি।

ওয়ানডেতে ৪ বছর, টি-২০তে ৬ বছর থেকেছেন দলের বাইরে। সর্বশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপের দলে হননি বিবেচ্য। ঘরের মাঠে দর্শকের কাতারে দেখেছেন খেলা। ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ঘুরেছেন রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে।

উপেক্ষিত এই টপলেই বৃহস্পতিবার রাতে রচনা করেছেন ইতিহাস। তার দুটি ইতিহাস রচনায় ঢাকা পড়ে গেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই বোলারের সেরা কৃতিত্ব। ওডিআই ক্রিকেটে ইংল্যান্ড বোলারদের মধ্যে ৬ উইকেটের কৃতিত্ব মাত্র ৪ জনের।

২০০৫ সালে নটিংহ্যামে পল কলিংউড বাংলাদেশের বিপক্ষে পেয়েছেন ৬ উইকেট (৬/৩৫), সেটাই ছিল এতোদিন ইংল্যান্ডের যে কোনো বোলারের সেরা বোলিং। সেই রেকর্ড টপকে বৃহস্পতিবার রিস টপলে করেছেন সেরা বোলিং (৯.৫-২-২৪-৬)। লর্ডসে অনার্স বোর্ডে ওডিআই ক্রিকেটে নাম উঠিয়েছেন সব মিলে ১৫ বোলার। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন টপলে।

লর্ডসের ওডিআই ইতিহাসে এতোদিন সেরা বোলিং ছিল ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানী পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির (৯.১-০-৩৫-৬)। সর্বশেষ বিশ্বকাপে করেছিলেন তিনি সেই রেকর্ড। সেই রেকর্ড টপকে এখন লর্ডসে সেরা বোলিং ইনিংসে সবার উপরে এখন টপলে।

টপলের তোপে ছিন্নভিন্ন হয়েছে ভারত। ইংল্যান্ডের ২৪৬/১০-এর জবাবে ভারত থেমেছে ১৪৬/১০-এ। শুরুটা করেছেন টপলে রোহিতকে এলবিডাব্লুউতে ফিরিয়ে দিয়ে (০)। ডাউন দ্য লেগে শর্ট বল পিচ করে ধাওয়ানকে (৯) উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন। কাট করতে যেয়ে বোল্ড হয়েছেন সূর্যকুমার (২৭)। স্লো ফুলটসে সামী (২৩) দিয়েছেন মিড অনে ক্যাচ। মিডল এন্ড লেগ স্ট্যাম্পে পিচিং ডেলিভারিতে বোল্ড আউটে চাহালকে (৩) ফিরিয়ে দিয়ে ক্যারিয়ারে প্র্রথমবারের মতো দেখেছেন ৫ উইকেটের মুখ। প্রসিধ কৃঞ্চাকে কট বিহাইন্ডে পরিণত করে ইংল্যান্ড ওডিআই ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা বোলিং এখন টপলের। তার ইতিহাস রচনার ম্যাচ ১০০ রানে জিতে ওয়ানডে সিরিজ সমতায় এনেছে (১-১) ইংল্যান্ড।

প্রথম ম্যাচে বুমরাহ’র ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে (৬/১৯) ইংল্যান্ড ১১০ রানে অলআউট হয়ে হেরেছে ১০ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে টপলের (৬/২৪) ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ভারত ১৪৬ রানে থেমে হেরেছে ১০০ রানে। লর্ডসে এটা রানের ব্যবধানে তৃতীয় সর্বোচ্চ বড় জয়। এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ২০২ রানের ব্যবধানে জয়টাও ইংল্যান্ডের ভারতের বিপক্ষে, ১৯৭৫ সালে।

লর্ডসে এই ম্যাচে দু’দলের ব্যবধানটা তৈরি হয়েছে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে। যে পর্বে ইংল্যান্ডের ৪৬/১-এর জবাবে ভারতের স্কোর ২৮/২। এক ম্যাচ ফিরেও কোহলি ছন্দহীন (২৫ বলে ১৬)। ৫ম জুটির ৪২ এবং ৭ম জুটির (জাদেজা-সামী) ৩৯ রানে ভারত নাগাল পেয়েছে তিন অঙ্কের। জাদেজার ২৯, সামীর ২৮ রানের ইনিংসের ফলে কিছুটা মানরক্ষা হয়েছে ভারতের।

ইংল্যান্ড সেখানে প্রথমে ব্যাট করে ২৪৬ পর্যন্ত স্কোর টেনে নিতে পেরেছে ৬ষ্ঠ জুটির ৪৬,৭ম জুটির ৬২ রানে। ইনিংসের মাঝপথে লিভিংস্টোনের ৩৩, মইন আলীর ৪৬ এবং ডেভিড উইলির ৪১ রানের ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে তারা।